-->
শিরোনাম
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের পঞ্চম শিরোপা

ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের পঞ্চম শিরোপা

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা ভারতের। পঞ্চমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে তারা। শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ভারত এ কীর্তি গড়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের নর্থ সাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের করা ১৮৯ রানের জবাবে ভারত ১৪ বাকি থাকতে জয় তুলে নেয়।

ক্রিকেট মাঠে ভারতের সাফল্য মানেই ব্যাটার বা স্পিনারদের রাজত্ব। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে তাদের কেউ নন, বরং পেসাররা আলো ছড়িয়েছেন। তারাই জয়ের পথ তৈরি করেছেন। দুই পেসার রবি কুমার ও রাজ বাওয়ার পেস দাপটে অন্ধকার দেখেছে ইংলিশ ব্যাটাররা। পথ হারিয়েছেন তারা। সে সুযোগে ভারত জয় তুলে নিয়েছে। তারা দুইজনে শিকার করেছেন ৯ উইকেট।

টস জয়ের পর ইংলিশ অধিনায়ক টম প্রেস্ট ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সতীর্থরা যেন অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভূল প্রমাণের লড়াইয়ে নামেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে। স্কোরবোর্ডে রান বাড়ানোর প্রতিযোগিতা তেমন একটা না থাকলেও উইকেট সংখ্যা বেড়েছে রকেট গতিতে। আর উল্লাসে মেতেছে ভারতীয় ফিল্ডার ও বোলাররা।

ভারতীয় বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ছয় ব্যাটারের চারজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যর্থ ছয় ব্যাটারদের চারজনের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৬। তাদের মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক টম প্রেস্ট। ইংলিশ অধিনায়ক রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ব্যর্থতার এ তালিকায় আরও ছিলেন জ্যাকব বেথেল (২), উইলিয়াম লুক্সটন (৪) ও জর্জ বেল (০)। ইংলিশ ব্যাটারদের মোট ছয়জন দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেননি।

মাত্র ১৮ রানে ইংলিশরা প্রথম দুই উইকেট হারায়। মূলত একটু বিরতি দিয়ে ইংলিশদের উইকেট তুলে নিয়ে আনন্দে মাতে ভারতীয় বোলাররা। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু জেমস রিউ। এ ইংলিশ ব্যাটার ভারতীয় বোলারদের বিপরীতে একাই লড়াই অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু পাশে কোনো সতীর্থকে পাননি। ফলে কোনো বড় পার্টনারশিপও গড়তে পারেননি। লড়াই যা করার তা একাই করতে হয়েছে। যার ফলে ইনিংসের সিংহভাগ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৯৫ রান করেছেন তিনি। ১১৬ বলে তার খেলা ইনিংসটি ১২ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল।

শেষ দিকে বোলার জেমস সেলসের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ কিছুটা সমৃদ্ধ হয়। দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা এ ব্যাটার ৩৪ রান করেন। ফলে ইংল্যান্ডের বোলাররা লড়াইয়ের জন্য কিছুটা পুঁজি পেয়ে যায়। রবি কুমার ৩৪ রানে ৪ উইকেট পান। আর ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন রাজ বাওয়া।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত যে খুব স্বস্তিতে ছিল তা নয়। বরং শুরুতেই তাদেরও আতঙ্ক চেপে ধরেছিল। মাত্র দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় তারা। তবে শুরুর এ ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে। বিশেষ করে ওয়ান ডাউন ব্যাটার শাইক রশিদ দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ৮৪ বলে তিনি স্কোরবোর্ডে ৫০ রান জমা করেন। তার এ রানের পাশাপাশি নিশান্ত সিধু ও রাজ বাওয়ার দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন। মূলত তাদের ব্যাটিংই ভারতকে জয়োৎসব করার সুযোগ করে দিয়েছে।

সিধু মাত্র ৫৪ বলে ৫০ রান করেন। আর রাজ বাওয়ার অবদান ছিল ৩৫ রান। ৫৪ বলে ৩৫ রান করেছেন তিনি। তবে ভারতীয় শিবিরের শেষ উদ্বেগটা উড়িয়ে দেন উইকেটরক্ষক দিনেশ বানা। ছোট্ট একটা ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছেন আর তাতেই রান উৎসব করেছেন। খেলেছেন মাত্র ৫ বল। এতে দলের সংগ্রহে যোগ হয়েছে ১৩ রান। দুটো ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। তার একটা ছিল উইনিং শট।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তেমন কেউ বিশেষ অবদান রাখতে পারেননি। দুটো করে উইকেট পেয়েছেন তিন বোলার।

 

মন্তব্য

Beta version