সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের অংশ নেওয়া। স্বপ্ন পরে আরও একটু বিস্তৃত হয়। তখন স্বপ্ন ট্রফি জয়ের। ব্যতিক্রম নয়, সেনেগালের স্ট্রাইকার সাদিও মানে। প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশসন কাপ জয়ে দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের জয়ে সর্বাধিক গোল করেছেন। শুধু তাই নয়, ফাইনালে মিসরের বিপক্ষে টাইব্রেকারের শেষ শটে গোল করে শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন। জাতীয় দলের হয়ে এ শিরোপা জয়কে সাদিও মানে তার ক্যারিয়ারের মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন।
সাদিও মানে নায়ক, তবে হয়ে যেতে পারতেন খলনায়ক। কেননা ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি শট পেয়েছিল সেনেগাল। কিন্তু সাদিও মানে তা থেকে গোল করতে পারেননি। সে সব ব্যর্থতা এখন অতীত। ট্রফি জয়ের সাফল্য ব্যক্তিগত ওই ব্যর্থতাকে ঢেকে দিয়েছে।
দেশে ফিরে কাপ জয়ের সাফল্যকে ক্যারিয়ারের সেরা ট্রফি বলে বর্ণনা করেছেন লিভারপুলে খেলা ২৯ বছরের সাদিও মানে। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেরা ট্রফি এটি। এদিনটা আমার জীবনের সেরা দিন। আমি আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। পাশাপাশি আরও কিছু ট্রফি জয় করেছি। কিন্ত আমার জীবনের এটা বিশেষ একটা কিছু। এটা আমার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
ট্রফি জয়ের এ সাফল্যকে সাদিও মানে তার সতীর্থদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমি পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হই তখন তা আমার জন্য ছিল বড় হতাশার। কিন্তু সতীর্থরা সে সময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা বলেছিল, আমরা জিতলে এক সঙ্গে জিতবো, হারলে এক সঙ্গে হারবো। আমরা তোমাকে ভালোভাবেই জানি। আমাদের এ পর্যন্ত আসার পেছনে তোমার অনেক অবদান রয়েছে। তাদের এসব কথা শুনে আমি সাহস ফিরে পাই। আমি উজ্জ্বীবিত হই।’
সাদিও মানে শুধু এখন চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তা নয়। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে সেনেগাল মাত্র একটা গোল করেছিল। তারপরও তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় পর্বে উঠেছিল। একমাত্র গোলটি করেছিলেন সাদিও মানে। এ গোলটি তিনি পেয়েছিলেন পেনাল্টি থেকে। পরে দ্বিতীয় রাউন্ডে এবং সেমিফাইনালে মানে দুই গোল করেন। মোট তিন গোল নিয়ে তিনি সেনেগালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
মন্তব্য