-->
ইতালিয়ান কাপ

শেষ মূহুর্তের নাটকীয় গোলে জুভেন্টাস সেমিফাইনালে

ক্রীড়া ডেস্ক
শেষ মূহুর্তের নাটকীয় গোলে জুভেন্টাস সেমিফাইনালে

নাটকীয় জয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে জুভেন্টাস। বৃহষ্পতিবার রাতে শেষ মূহুর্তের ওন গোলে তারা সাসুউলোকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছেছে। সেমিফাইনালে তারা ফিওরেন্টিনার মুখোমুখি হবে। একই রাতে ফিওরেন্টিনা ৩-২ গোলে আটালান্টাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

জুভেন্টাস ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালা। সাসুউলোর বিপদ সীমানা মধ্যে থাকা দিবালা হঠাৎ করে বলে পেয়ে যান। সতীর্থ খেলোয়াড়ের নেওয়া শট সাসুউলোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে তার সামনে এসে পড়ে। বা পায়ের ভলিতে দিবালা বলকে সঠিক ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন।

২৩ মিনিটে সাসুউলো গোল পরিশোধ করে খেলায় ফিরে আসে। হামেদ ট্রাওরের চমৎকার বাঁকানো শট জুভেন্টাসের গোলরক্ষক থামানোর সুযোগই পাননি। তবে এ গোলের জন্য জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ দায় এড়াতে পারে না। তাদের ভাবটা এমনই ছিল- পারো তো গোল করো। একাধিক খেলোয়াড় তাকে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু তার কাছাকাছি কেউ নন। সে সুযোগই দূর পোস্টে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন।

বিরতির পর উভয় দলই গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু গোলই আসছিল না। জুভেন্টাসের গোলরক্ষককে বেশ কয়েকবার কঠিন পরীক্ষাও দিতে হয়েছে। পরীক্ষা দিতে হয়েছে সাসুউলের গোলরক্ষককেও। একাধিকবার তিনি কোনোমতে দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করেছেন। গোললাইন থেকেও শেষ মূহুর্তে বল ফিরিয়েছেন তিনি। অবশেষে ৮৮ মিনিটে নাটকীয় গোল পায় জুভেন্টাস। ডুসান ভøাহোভিচ করেন গোলটি। বল নিয়ে বা দিক থেকে সাসুউলোর রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। সাসুউলোর বিপদসীমানার আশপাশে কোনো সতীর্থকে দেখতে না পেয়ে নিজেই বল নিয়ে এগিয়ে যান। শেষ সময়ে শেষ চিকিৎসার মতো শট নেন। বল সাসুউলোর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রুয়ান ট্রেসোলডির হাতে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে জালে আশ্রয় নেয়।

আটালান্টাকে হারিয়ে পাওয়া ফিওরেন্টিনার জয়টাও কম নাটকীয় ছিল না। পিছিয়ে থেকেও অতিরিক্ত সময়ের গোলে ফিওরেন্টিনা সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছে। নবম মিনিটে পেনাল্টি গোলে ফিওরেন্টিনা এগিয়ে গেলে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল তারা। দুটো গোলই করেছিলেন পিয়াটেক। অন্যদিকে ডেভিড জাপাকোস্টা ও জার্মেই বোগার গোল করেছিলেন আটালান্টার হয়ে। ম্যাচ যখন ২-২ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার অপেক্ষায় তখনই ফিওরেন্টিনার সমর্থকদের আনন্দে ভাসান নিকোলা মিলেনকোভিচ। ৯৩ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। তার আগে অবশ্য ফিওরেন্টিনার ওপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে যায়। সে ঝড়ে ঝরে যায় লুকাস মার্টিনেজ কোয়ার্টা। লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন তিনি। ফলে ১১ মিনিটেরও বেশি সময় তাদেরকে একজন কম নিয়ে খেলতে হয়। আর এ সময়ে তারা পায় জয়সূচক গোলটি।

মন্তব্য

Beta version