-->
লা লিগা

শেষ মুহূর্তে ইয়ংয়ের গোলে রক্ষা বার্সেলোনার

ক্রীড়া ডেস্ক
শেষ মুহূর্তে ইয়ংয়ের গোলে রক্ষা বার্সেলোনার

লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর থেকে বার্সেলোনার ম্যাচ মানেই নাটকীয়তা। রোববার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচও ছিল নাটকীয়তার ভরপুর। ছিল কার্ডের ছড়াছড়ি। তিন লাল কার্ড ও পাঁচ হলুদ কার্ডের ম্যাচে কোনোমতে হার এড়িয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। শেষ মূহুর্তের গোলের ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ফলে দীর্ঘ ১৬ বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম জয়ের যে স্বপ্ন এস্পানিওল দেখছিল তা ভেস্তে যায়।

এস্পানিওল নতুন বছরে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি। বার্সেলোনার বিপক্ষে সেই অভাবটা ঘোঁচানোর স্বপ্ন দেখছিল তারা। তেমনই সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য অল্পের জন্য সেই স্বপ্নকে তারা বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অন্যদিকে এস্পানিওলের দুর্ভাগ্য বার্সেলোনার জন্য সৌভাগ্য হয়ে দেখা দিয়েছে। তার হার এড়াতে পেরেছে।

লুক ডি ইয়ংয়েল শেষ মূহুর্তের গোলে হার এড়িয়ে পয়েন্টের ভান্ডারে একটা পয়েন্ট যোগ করেছে বার্সেলোনা। আর তাতেই বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলে আবার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। সে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করেছে। ২৩ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৯। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে চলেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। অন্যদিকে ২৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

নতুন বছরে প্রথম জয়ের স্বপ্নে বিভোর এস্পানিওলের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই তারা গোল হজম করে বসে। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই পেদ্রি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেয়। ম্যাচ শুরুতে যে দুঃস্বপ্ন এস্পানিওলের শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল একটু পরে তা বার্সেলোনা শিবিরে ফিরে আসে। বিরতির আগে এস্পানিওল সের্গি দারদারের গোলে সমতায় ফিরিয়ে আনে। অসাধারণ এক গোল করেন দারদার। বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার বাঁকানো শটে গোলটি করেন দারদার।

বিরতির পরপরই বার্সেলোনা আবার গোল হজম করতে হয়। রাউল ডি টমাসের গোলে ৬৪ মিনিটে বার্সেলোনা পিছিয়ে পড়ে। এ গোলেই এস্পানিওল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। চমৎকার শটে বার্সেলোনা গোলরক্ষককে পরাভূত করেছিলেন টমাস। উড়ে আসা বল অরক্ষিত অবস্থায় থাকা টমাস বুক দিয়ে নামিয়েই ডান পায়ের জোরালো শটে বলকে জালে পাঠিয়ে দেন। দারুণ দক্ষতায় তিনি বার্সেলোনা অফসাইড এড়িয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের জয়োৎসব করা হয়নি। কেননা একেবারে অন্তিম সময়ে লুক ডি ইয়ং গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। ম্যাচের বয়স তখন ৯৬ মিনিট। ম্যাচে সেটা হতে পারতো শেষ শট। তার আগেই দারুণ হেডে গোল করেন লুক ডি জং। এস্পানিওল গোলরক্ষক বল থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল তার লাগিয়েও থামাতে পারেননি। জংয়ের এই হেড এস্পানিওল সমর্থকদের হৃদয় ভেঙ্গে দেন।

ম্যাচের শেষ মূহুর্তে যথেষ্ঠ নাটকীয়তা ছিল। সংগাতে জড়িয়ে পড়ায় ৯২ মিনিটে এস্পানিওলের নিকোলাস মেলামেড ও বার্সেলোনার জেরার্ড পিকে লাল কার্ড দেখেন। এ ঘটনার চার মিনিট আর আবার লাল কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে। এবার দেখেন এস্পানিওলের ম্যানুয়েল মরলানেস দেখেন লাল কার্ড।

ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা কোচ জাভি বলেন, শেষ পর্যন্ত ইতিবাচকভাবে ম্যাচটি শেষ হযেছে। আমরা উভয়ার্ধে বেশ কিছু ভালো মুহূর্ত উপহার দিয়েছি। এস্পানিওল খুব বেশি সুযোগ পায়নি তবে তারা যে সব সুযোগ পেয়েছে তা ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। এটা ছিল দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদকে এখানে হারতে হয়েছে। আমরা যদি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে জয় পেতাম। আবার আমরা শেষ মুহুর্তে হারতেও পারতাম। আর তা যদি হতো তাহলে ব্যাপারটি ভালো হতো না। যাহোক আমরা এখনও ভালোভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার দৌড়ে টিকে আছি। আর এ লড়াইটা অব্যাহত রাখতে চাই।’

মন্তব্য

Beta version