চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। এক মৌসুম আগেও শিরোপা জিতেছে দলটির। অথচ সেই দলকেই বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড়ে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছে এফসি সালজবুর্গ। প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে দলটির বিপক্ষে কোনোমতো হার এড়িয়েছে জার্মান ক্লাবটি। ৯০ মিনিটে কিংসলে কোম্যানের গোলে ১-১ গোলে ড্র করেছে। আগামী ৮ মার্চ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তারা ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দারুণ রেকর্ড সঙ্গী করে অস্ট্রিয়া সফরে এসেছিল বায়ার্ন। গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের সবকটিতেই জয় পেয়েছিল তারা। কিন্তু সফরের আগ মূহুর্তে তাদের স্মৃতিটা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। ঘরোয়া লিগে বোচামের বিপক্ষে ২-৪ গোলের হারের জ্বলজলে তিক্ত স্মৃতি নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল। সেই স্মৃতি যে এমন অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে তা হয়তো ভাবতে পারেনি বায়ার্নের তারকারা।
ম্যাচের শুরুতেই সফরকারী বায়ার্ন মিউনিখকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিক সালজবুর্গ। মাত্র ২১ মিনিটেই বায়ার্নের জালে বল ফেলেছিলেন বদলি খেলোয়াড় চুকউবুউকে আদামু। মাঠে আসার মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যে তিনি স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে নেন। ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটের সময় সালজবুর্গ কোচ খেলোয়াড় পরিবর্তনে বাধ্য হন। ইনজুরির কারণে নোয়া ওকাফকে তুলে নিয়ে আদামুকে মাঠে পাঠিয়েছিলেন কোচ। ওকাফের ইনজুরি যে দলের জন্য শাপেবর হবে তা হয়তো কল্পনাও করেননি।
শুধু আগে গোল নয়, ম্যাচে সালজবুর্গ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কেননা স্বাগতিক দলের একটা পেনাল্টির দাবি রেফারি এড়িয়ে গেছেন। বিরতির ঠিক আগ মূহুর্তে করিম আদেয়েমি মারাত্মক ফাউলের শিকার হলেও রেফারি তা এড়িয়ে যান। যার বিপক্ষে অভিযোগ সেই বেঞ্জামিন পাভার্ডের বিপক্ষে সাফাই গেয়েছেন রেফারি। তার দাবি আদেয়েমির সঙ্গে পাভার্ডের কোনো শারীরিক সংঘাত ঘটেনি।
স্বাগতিক দল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বায়ার্নের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। অন্যদিকে আধিপত্য বিস্তারে ব্যর্থ বায়ার্ন এ সময়ে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু সালজুবর্গের গোলরক্ষক ফিলিপ কোনের দৃঢ়তায় বায়ার্ন গোল থেকে বঞ্চিত হয়।
বায়ার্নের মতো গোল বঞ্চিত হয়েছে সালজবুর্গও। খেলার শেষ বাঁজি বাজার ১০ মিনিট আগে এ সুযোগটি এসেছিল স্বাগতিকদের সামনে। বায়ার্নের বেঞ্জামিন পাভার্ড এ সময় বল গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে খেলার শেষ সময়ে সালজবুর্গ দর্শকদের হতাশায় ডুবিয়ে দেন কিংসলে কোম্যান।
মন্তব্য