জুভেন্টাসের শিরোপা স্বপ্নে ধাক্কা

ক্রীড়া ডেস্ক
জুভেন্টাসের শিরোপা স্বপ্নে ধাক্কা

সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইতালি লিগের জুভেন্টাসের। সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটি আবার পয়েন্ট হারিয়েছে। শুক্রবার রাতে তুরিনো ডার্বিতে তারা ১-১ গোলে ড্র করেছে।

তুরিনোর কাছে পয়েন্ট হারানোর কারণে তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। ২৬ ম্যাচ শেষে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। শীর্ষে থাকা এসি মিলানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৮। দলটির পয়েন্ট ৫৫। এ ব্যবধান আরও বাড়তে পারে। কেননা এসি মিলান একটা ম্যাচ কম খেলেছে।

জুভেন্টাসের শিরোপা স্বপ্ন যখন ধোঁয়াশে হচ্ছে তখন দুই মিলান ও নাপোলির মধ্যে শিরোপা লড়াইয়ের দৌড় জমজমাট হচ্ছে। লড়াইয়ের নেতৃত্বে এসি মিলান। তারপরেই রয়েছে ইন্টার মিলান। তাদেরকে অনুসরণ করে চলেছে নাপোলি। তিন দলের মধ্যে পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র এক করে। এসি মিলানে ৫৫, ইন্টার মিলান ৫৪ আর নাপোলির সংগ্রহ ৫৩। শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাস চতুর্থ থাকতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ শঙ্কা রয়েছে। কেননা আটালান্টা তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে চলেছে। তাদের পয়েন্ট ৪৪। তবে তারা দুটো ম্যাচ কম খেলেছে।

ভাগ্যটা যেন জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির সঙ্গে আড়ি দিয়েছে। এমনিতে দলের অবস্থা ভালো নয়, তার ওপর নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলে রুগানি ওয়ার্ম আপের সময় আহত হয়ে দল থেকে ছিটকে যান। তার পরিবর্তে নেমেছিলেন লুকা পেলেগ্রিনি। তাকেও পুরো সময় পাননি তিনি। বিরতির সময় তাকেও তুলে নিতে হয়। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পাওলো দিবালাকে তুলে নেন জুভেন্টাস কোচ। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে আলেগ্রির দুঃশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেলো।

জুভেন্টাসের ইনজুরির তালিকা এ মৌসুমে এমনিতেই বেশ দীর্ঘ। অভিজ্ঞ সেন্টার ব্যাক গিওর্গি চিয়েলিনি আহত। লিওনার্দো বানুচ্চিও ইনজুরির তালিকায়। আর হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ায় মিডফিল্ডার ফেডেরিকো চিয়েসা এ মৌসুমে মাঠে ফিরতে পারছেন না। এত সব জটিলতার মাঝেও আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছিলেন ম্যাথিস ডি লিগট। ১৩ মিনিটে গোল জুভেন্টাসকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। পিছিয়ে পড়ার পর তুরিনো গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধে পারেনি, তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা ঠিকই তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করে।

আন্দ্রে বেলোত্তির গোলে তারা সমতা ফেরায়। বেলোত্তির ৬২ মিনিটে করা গোলের আগে বেশ কয়েকবার তারা সুযোগ তৈরি করে। আর গোলের পরও তারা একাধিক সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু জুভেন্টাসের শক্ত রক্ষণভাগে বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হয়।

ম্যাচ শেষে হতাশ জুভেন্টাস কোচ বলেন, ‘আমরা প্রথমার্ধে দুই থেকে তিনটি সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। এ সময় আমরা ভালো খেলতে পারিনি। মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত আমরা একটা পয়েন্ট পেয়েছি।’

এ ম্যাচেও জুভেন্টাস কোচ ইতিবাচক কিছু বিষয় খুঁজে পেয়েছেন। তাদের অপরাজিত থাকার পথটাও দীর্ঘ হয়েছে। টানা ১২ ম্যাচ তারা অপরাজিত। অথচ প্রথম ১৪ ম্যাচের পাঁচটিতেই তারা হেরেছিল।

মন্তব্য