প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ২১৬ রান। আফগানদের বিরুদ্ধে এমন সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো নাভিশ^াস অবস্থা বাংলাদেশের। ১৮ রানে পড়েছে চার উইকেট। ২৮ রানে নেই পাচ উইকেট। এরপর ৪৫ রানে ছয় উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে বড় হারের শঙ্কায় আছে তামিম শিবির।
তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। আম্পায়ার যদিও প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানিস্তান। ৮ বলে লিটন করতে পারেন মাত্র এক রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৮ বলে দুই চারে ৮ রান করে তিনি ফারুকির এলবিডব্লিউর শিকার। এবারও আম্পায়ার আগে আঙুল তোলেনি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানিস্তান। একই ওভারে দুই রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে ফেরায় আফগানরা।
শুরুর বিপর্যয় রোধ করতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ফারুকির পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে তিনি এলবির শিকার। রিভিউ নেন মুশফিক। কাজে দেয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লাগত অফ মিডল স্টাম্পে। ৫ বলে মুশফিক করতে পারেন মাত্র তিন রান। একই ওভারের শেষ বলে আবার ফারুকি ঝলক। এবার তিনি বোল্ড করেন দেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বিকে। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি রাব্বি। অভিষেকটা তাই বিষাদের হলো তরুণ এই ব্যাটারের।
সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেন প্রতিরোধ গড়তে। কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ টেকেনি। স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে বিদায় নেন সাকিব। হয়ে যান বোল্ড। ১৫ বলে এক চারে তিনি করেন ১০ রান। ২৮ রানে নেই বাংলাদেশের পাচ উইকেট। এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দুজন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। ১২তম ওভারে রশিদ খানের আঘাত। ১৭ বলে ৮ রান করে গুলবাদিনের হাতে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৫ রান তুলতেই শেষ বাংলাদেশের ৬ উইকেট।
মন্তব্য