সেই ২০০৭ সাল থেকে রিয়াল মাদ্রিদে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো। আগের চুক্তি অনুসারে এ বছরের জুনে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে কোনো চুক্তি হয়নি। ৩৩ বছর বয়সী মার্সেলোর সঙ্গে রিয়ালের নতুন কোনো চুক্তি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অথচ রিয়ালের হয়েই তিনি চান ক্যারিয়ারের ইতি টানতে।
ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় যে ক্লাবে কাটালেন, সেই ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা হবে কিনা তা নিয়ে মার্সেলোর যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেননা এটা শুধু যে তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তা নয়। বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে তার ক্লাব রিয়ালের ওপর। এখনই ফুটবলকে বিদায় জানানোর কোনো ইচ্ছা নেই মার্সেলোর। অথচ রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিও হচ্ছে না। এমন অবস্থায় রিয়াল ছেড়ে গেলে মার্সেলোর সে স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ দেবে না।
এ ব্যাপারে স্পেনের এক টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্সেলো বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে শান্ত আছি। তবে এটা আমার ক্লাব। আমার ছেলে বড় না হওয়া পর্যন্ত এ ক্লাবের হয়ে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আমি তার সঙ্গে খেলতে চাই।’
তবে মার্সেলো এসব বিষয় নিয়ে এখন কথা বলতে চান না। কেননা সামনে গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচ রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। আমি বিশে^র সেরা দলের অধিনায়ক। আমি শান্ত আছি এবং নিরাপদে আছে। আমি খুব বেশি দূরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি না। সবকিছুর একটা শেষ আছে। যা হোক, আমি এখান থেকেই অবসরে যেতে চাই। তবে এ সিদ্ধান্তটা আমার ওপর নির্ভর করছে না।’
মার্সেলো রিয়াল মাদ্রিদের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। অবশ্য এখন আর আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ তিনি নন। মাঠে তার উপস্থিতি বোঝা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি ক্লাবের অধিনায়ক হলেও নতুন কোনো চুক্তির ব্যাপারে তার এই অধিনায়কত্ব তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করবে না।
মার্সেলো বলেন, অধিনায়ক হিসেবে আমি কোনো বিশেষ সুবিধা নিচ্ছি না। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্বিত। কিন্তু সেখানে অনেক কিছু রয়েছে। অধিনায়কত্ব অনেক বড় দায়িত্বও।’
২০০৭ সালে মার্সেলো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৪ বছর আগের ঘটনা হলেও মার্সেলোর মনে এখন সে দিনটা স্পষ্ট। মার্সেলো বলেন, ‘আমি আমার এজেন্টের সঙ্গে এসেছিলাম। সে সময় আমার পোশাক ছিল সাধারণ। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনিজে যেমনটা ব্যবহার করতাম তেমনটাই। আমার সঙ্গে বান্ধবী ছিল। সে আমাকে ডেভিড বেকহ্যামকে দেখতে বলল। তারপর তারা আমাকে দর্জির দোকানো নিয়ে আমাকে পোশাক কিনে দিল। তেমন পোশাক আমি আগে কখনো পরিধান করিনি। যা হোক, যখন চুক্তির বিষয়টি এলো আমি দ্বিতীয়বার চিন্তাও করিনি।’
মন্তব্য