ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই। দীর্ঘদিন উপমহাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে বঞ্চিত। তবে বিশ্বকাপ মাঝে মাঝে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই দেশের লড়াই উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়। রোববারও এ সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে পুরুষদের নয়, নারীদের। নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুটো দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সেখানে উত্তেজনার দেখা মেলেনি। দেখা মিলতে দেয়নি ভারত। তাদের বোলাররা ও ব্যাটাররা উত্তেজনা তৈরির সুযোগ দেয়নি। একতরফা লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানকে ১০৭ রানে হারিয়েছে। ৭ উইকেটে ভারতের করা ২৪৪ রানের জবাবে পাকিস্তান ১৩৭ রানে অল আউট হয়েছে।
বিশাল এ জয়ের ফলে আট দলের বিশ্বকাপে প্রত্যেকের এক ম্যাচ শেষে ভারত পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অবস্থান সবার নিচে। রান রেটে পাকিস্তানের ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। ভারতের পাশাপাশি প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জয়ের পর ভারত প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। বল হাতে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দারুণ। নির্ধারিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট তুলে নিচ্ছিল তারা। ভারতের ষষ্ঠ উইকেট পর্যন্ত এমন সাফল্য অব্যাহত ছিল তাদের। ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ১১৪ রান জমা করে। কিন্তু সপ্তম উইকেট জুটিতে স্নেহ রানা ও পুজা ভাস্ত্রাকার পাকিস্তান বোলারদের উচ্ছ্বাস কেড়ে নেয়। প্রতিপক্ষের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে তারা রানের খাতা সমৃদ্ধ করে চলে। ১১২ রানের পার্টনারশিপ তাদের। উভয়েই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। স্নেহ রানা ৫৩ রানে অপরাজিত। আর পুজা করেছেন ৬৭ রান। ৫৯ বলে আট বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। তার আগে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার ৫২ রানের পাশাপাশি ওয়ান ডাউন ব্যাটার দিপ্তী শর্মার ৪০ রান ভারতকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল।
মাত্র ৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এক উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে ৯৬ রান জমা করেছিল। পরে ছোট্ট এক কার্যকরী ঝড়ে পাকিস্তান মাত্র ২০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেয়। তারপর পাকিস্তানের বোলারদের সব সাফল্য ম্লান হয়ে যায়।
জবাবে পাকিস্তানের ব্যাটারদের শুরুটা তুলনামূলক ভালো ছিল। তবে সেই ভালোটা তারা ধরে রাখাতে পারেনি। ওপেনার সিদরা আমিনের করা ৩০ রানই তাদের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ভারতের রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ছিলেন সফল বোলার। পাকিস্তান ইনিংসকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেন তিনি। ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া স্নেহ রানা ও ঝুলান গোস্বামী দুটো করে উইকেট নেন। চমৎকার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে পুজা ভাস্ত্রাকার ম্যাচ সেরা হন।
মন্তব্য