প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটা ভালো হয়নি। অধিনায়ক জো রুট যেমন ব্যর্থ ছিলেন তেমনি হাসেনি জ্যাক ক্রলির ব্যাটও। ওপেনার অ্যালেক্স লিসও ছিলেন ব্যর্থতার তালিকায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে তাই শঙ্কা ছিল। শুরুটাও সুখকর ছিল না। লিস আবারো ব্যর্থ। ফলে আরো একটা ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কা যে তৈরি হয়নি তা নয়। কিন্তু দিন শেষে ইংল্যান্ডের আকাশে কালো মেঘ নয়, বরং সেখানে স্বস্তির হাসি। দিন শেষে ১৫৩ রানে এগিয়ে। হাতে রয়েছে ৯। ক্রিজে আছেন প্রথম ইনিংসের দুই ব্যর্থ ব্যাটার জ্যাক ক্রলি ও জো রুট। ক্রলি ১১৭ রানে অপরাজি। আর রুট পঞ্চম দিন ৮৪ রানে ব্যাট শুরু করবেন।
জ্যাক ক্রলির নৈপুণ্যে বিষ্মিত হয়েছেন অধিনায়ক জো রুট। বিষ্ময়ে তার কীর্তির দিকে বারবার তাকিয়েছেন। ক্রিজে মাঝে বারবার তার পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি এটি ক্রলি। অসাধারণ এক ইনিংস এটি তার। অন্তত সময় অনুসারে। ২০২০ সালে তার প্রথম সেঞ্চুরিটা তিন অঙ্কে পৌঁছে থেমে যায়নি। সেটাকে টেনে তিনি ২৬৭ রান পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ডাবল সেঞ্চুরির পর যেনো ব্যাটিং ভুলে গিয়েছিলেন ক্রলি। এ ইনিংসের আগে ২১টি ইনিংসে খেলেছেন তিনি। কিন্তু সেখানে ব্যর্থতার ওজন ছিল বেশি। ১২টি ইনিংসেই ব্যক্তিগত সংগ্রহকে দুই অঙ্কে নিতে পারেননি। যে সব ইনিংসে দুই অংক পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন সে সব ইনিংসকে সমৃদ্ধ করতে পারেননি। মাত্র দুটো ইনিংসকে হাফ সেঞ্চুরির সীমা পার করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
ব্যর্থতার এমন ধারাবাহিকতার পাশাপাশি দলের বিপর্যয়ের পর চমৎকার ইনিংসটি যে প্রশংসাযোগ্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাইতো অধিনায়ক মাঝে মাঝে তার পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন।
১১৭ রানে অপরাজিত ইনিংসটি খেলতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ২০০ বল। ১৬টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। অন্যদিকে অধিনায়ক জো রুট ৮৪ রান করেছেন ১৫৮ বলে। ১৯৩ রানের পার্টনারশিপ তাদের। অ্যালেক্স ব্যক্তিগত ৬ রানে কেমার রোচের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পরই তারা জুটি বাঁধেন। মোট ৬৩.২ ওভার ব্যাটিং করেছেন তারা। সারাদিনে একটি মাত্র উইকেট শিকার করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করা জেডেন সিলেস এখনো উইকেটের দেখা পাননি। এরই মধ্যে তিনি ১২ ওভার বল করেছেন।
মন্তব্য