শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছে। সম্ভাবনা তৈরি করেও এনক্রুমাহ বোনার ও জেসন হোল্ডারের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড জয়ের দেখা পায়নি। তাদের দৃঢ়তায় একটা সময় হারের শঙ্কা পেয়ে বসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩১১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে কওে ৩৪৯/৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৭৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে কওে ১৪৭/৪। ম্যাচ সেরা হয়েছেন এনক্রুমাহ বোনার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছিল। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ২৮৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করাটা কঠিনই ছিল। অন্যদিকে দুই সেশনে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ উইকেট। ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রাটাই সহজ ছিল। সে দিকে এগুচ্ছিলো ম্যাচটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ ইনিংসে মোট ৭০.১ ওভার বোলিং মোকাবেলা করেছে। এর মধ্যে ৩৪.৩ ওভারে ইংল্যান্ড চার উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। এ সময়ে হঠাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে যেনো একটা টর্নেডো বয়ে যায়। আর তাতেই তাদের ব্যাটিংয়ে ধস শুরু হয়। সেই টর্নেডোতে উড়িে গিয়েছিলেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট (৩৩), জন ক্যাম্পবেল (২২), শামারাহ ব্রুকস (৫) ও জার্মেই ব্লাকউড (২) আউট হয়েছিলেন। মাত্র ৮ রানের মধ্যে এই চার ব্যাটারকে আউট করে ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে হারের শঙ্কা জোরালো হয়ে উঠেছিল।
তবে দিনের বাকি সময়টা ইংল্যান্ডের জয়ের স্বপ্ন ক্রমেই ঘোলাটে হয়েছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই সাফল্যের দেখা পেয়েছে। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এনক্রুমাহ বোনার। তার সঙ্গী হয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। দুইজনই জয়ের মতো কঠিন লক্ষ্যের দিকে দৌড়াননি। বরং ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই করেছেন। তাই তো তাদের দুইজনের স্ট্রাইক রেট ত্রিশের কাছে ঘোরাফেরা করেছে। এনক্রুমাহ ১৩৮ বল খেলেছেন। করেছেন ৩৮ রান। ক্রিজে থেকেছেন ১৭৮ মিনিট। অন্যদিকে জেসন হোল্ডার ১০১ বলে ৩৭ রান করেছেন। তিনি ক্রিজে ছিলেন ১৪৪ মিনিট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে এই আতঙ্কটা ছড়িয়েছিলেন জ্যাক লিচ। তিন উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বেন স্টোকস।
এর আগে দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের দুই অপরাজিত ব্যাটার জ্যাক ক্রলি ও জো রুট ইংল্যান্ডের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করার কাজ করেন। ক্রলি তার ১০৩ রানকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি। ১২১ রানে থামতে হয় তাকে। তবে অধিনায়ক রুট তার ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
মন্তব্য