দুঃস্বপ্নে মাঝে শুরু হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির মৌসুম। হেরেই গিয়েছিল মৌসুমের প্রথম ম্যাচ। শুরুর সেই দুঃস্বপ্ন উড়িয়ে দিয়ে একের পর এক জয় তুলে নিয়েছে। নিজেদেরকে তুলে নিয়েছিল পয়েন্ট টেবিশের শীর্ষে। ১৫তম ম্যাচ থেকে শীর্ষে আসা দলটি এখনো নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আগের মতো স্বস্তিতে নেই। বরং নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে যেতে পারে। সোমবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে পয়েন্ট হারিয়ে তাদের শীর্ষস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। গোলশূন্য ড্র করেছে।
ড্র’র ফলে ২৯ ম্যাচ শেষে ৭০ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার সিটির। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে লিভারপুল। তবে সিটির তুলনায় তারা একটা ম্যাচ কম খেলেছে।
ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ফুটবলে ভাগ্য বলতে কিছু নেই। ম্যাচে আমাদের গোল করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা গোল করতে পারিনি। আমরা গোল করার জন্য খেলেছিলাম। তারা আমাদের ওপর তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। তারা তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারিনি। যে দলটা সেদিন ছিল, সে দলটা আছে, পরবর্তী ম্যাচেও থাকবে। তবে দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা ভালো খেলেছি।’
ম্যানসিটি প্রথমার্ধে পরিস্কার আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। একের পর এক আক্রমণ রচনা করেছে। তবে ক্রিস্টাল প্যালেস তাদের সব আক্রমণ দারুণ দক্ষতার সঙ্গে রুখে দিয়েছে। ফলে এক রাশ হতাশা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় তাদের। বিরতির পরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। কেভিড ডি ব্রুইন বিরতির কয়েক মিনিট পর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শট পোস্টে লাগে। রিয়াদ মাহরেজও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তার শট ক্রিস্টাল প্যালেসের গোলরক্ষক রুখে দেন।
৭১ মিনিটে সিটি সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল। এ সময় জ্যাক গ্রেলিস ক্রিস্টাল প্যালেসের সামনে অপেক্ষায় থাকা বার্নার্ডো সিলভাকে বল দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র একটু ছোয়াঁর অপেক্ষায় ছিল বলটি। সিলভা বলে পা সংযোগও ঘটিয়েছিলেন। কিন্তু কি যে করলেন তা তিনি নিজেই হয়তো অবাক হয়েছেন। বল বাইরে দিয়ে চলে যায়।
প্যালেস গোল করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। প্যালেস কোচ বলেন, ‘যখন ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলা হয় তখন খুব কমই সুযোগ পাওয়া যায়। আর পাওয়া সুযোগগুলো কাজে না লাগাতে পারলে ভালো করা কঠিন। এটা অনেকটা ভাগ্যের বন্ধ।’
মন্তব্য