দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
তামিম ও লিটন দাস দারুণ সূচনা এনে দেন।

প্রথম ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঠে নেমে বড় রান পাওয়া যায় না, দ্রুত হুড়মুড়িয়ে উইকেট পড়ে এমন অভিযোগ ছিল পুরনো। সেই সংকটটাকে মাথায় রেখে ইনিংসে আগে ব্যাটিং করলে অন্তত ৩০০ রান করার ইচ্ছা নিশ্চয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলের সবার মধ্যে সঞ্চারিত করে থাকবেন।

তবে এমন কিছু করতে হলে শুরুটা দারুণ করতে হয়। লাগে কারো কারো বড় রান, ভালো কিছু পার্টনারশিপ। বলা যায় আজ প্রথম ইনিংসে এর সব কিছুই করে দেখাতে পেরেছে বাংলাদেশ।

সাকিব শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে হয়তো আরো বড় কিছু হতে পারত তবে ৩১৫ রানও ভালো টার্গেট। বাকিটা নির্ভর করছে স্পোর্টিং উইকেটে কতটা ভালো বোলিং করা যায় তার ওপরে।

আজকের দিনটা সাকিবময়। সেঞ্চুরি পাননি বটে তবে সেঞ্চুরিয়ন আজ শাসন করেছেন তিনি। তার আগে তামিম, লিটনও খেলেছেন। তবে ২৪ ওভার শেষে যে দলের রান ১০০ সেই দল ৪০ ওভার শেষে ২১৯, আর ইনিংস শেষে ৩১৪ রান করে প্রতিপক্ষকে ৩১৫ রানের টার্গেট দেবে, তিনজন ফিফটি করবে-এত কিছু কী আর ভাবা গেছে আগে! সে বারুদ যে জ্বালিয়ে গেছেন ‘বাংলার জান’ সাকিব আল হাসানই। অবশ্য, উইকেটের পতন রোধ করে এমন ভালো শুরু করার জন্য তামিম-লিটনকে ধন্যবাদ দিতেই হতো তাকে। তবে শুধু ধন্যবাদ দিলেই কী আর খেলার চেহারা পাল্টানো যায়! 

বরাবরের মতোই আজও আগ্রাসী ছিলেন সাকিব, তবে আজ নিজে আগ্রাসী থেকে বাকিদেরও উদ্বুদ্ধু করেছেন পিরানহা হতে। প্রতিপক্ষের ছোড়া প্রতিটি বলকে রানে রূপান্তর করার যাদু যেন জেনেছিল আজ সবাই-সাকিবের ছায়ায়।সেঞ্চুরিয়নের মাঠে শেষ ফল যাই হোক না কেন আজকের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিং তুমুল উপভোগ করছেন বাংলাদেশি ভক্তরা। নানা নাটকের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন দলের পরে, তবে নেমেছেন সেই সাকিবের ভূমিকাতেই যাকে দর্শকরা দেখেন তাদের কল্পনায়।

নিরুত্তাপ হতে পারতো যে ম্যাচ তাকে এখন বারুদ ঠাসা উত্তেজনায় তুলেছেন সাকিব। একের পর এক চার-ছক্কায় সেঞ্চুরিয়ন শাসন করছেন সাকিব। সাকিব অর্ধশত পেরিয়েছেন ৩৬ ওভারেই। শেষ পর্যন্ত তিনি করতে পারলেন ৭৭। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে শতকের গল্পও লেখার সম্ভাবনাও ছিল, তবে এনডিগির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হলো মাঠের বাইরে। তবে সাকিবের সেঞ্চুরিয়নে মারা ৭টা চার ও ৩টা ছক্কা খেলায় এনেছে প্রাণ, দলের বাকি খেলোয়াড়দের দিয়েছে বুস্ট-আপ।

তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন আজ ইয়াসির আলী। সাকিবের পাশে পাশে সমান তালে খেলে শত রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। অর্ধ শতক হাঁকানোর পর রানের চাকা আরেকটু বাড়ানোর ইচ্ছা ছিল হয়ত। তবে সবতো আর হয় না, ইয়াসিরেরও হলো না। ৪৩ ওবাভে কাসিগো রাবাদার প্রথম বলটিতেই মারতে গিয়ে টাইমিং হলো না। সোজা ধরা পড়লেন ওই বোলারের হাতেই।

ঠিক ৫০ রানে তার বিদায়ের পর খেলা থেমে থাকেনি। আজ মাহমুদুল্লাহর পাশাপাশি আফিফ, মিরাজরা তো খেলেছেনই, আজ তাসকিনও ব্যাটসম্যান চার মেরেছেন দেখার মতো।

বলা ভালো, শুরুতে ধরে খেলে ৬৭ বলে অধিনায়ক তামিম ইকবাল করেছেন ৪১ আর অপর ওপেনার লিটন সমান বল খেলে করেছেন ঠিক ৫০ রান। ব্যাটিংয়ে মুশফিকের দিন ছিল না আজ।

তবে খেলার যে স্কোর তাতে লড়াই হবে এটা বলা যায়।

মন্তব্য