জয়ের আশায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জয়ের আশায় বাংলাদেশ
দুই অধিনায়কের হাতে সিরিজের ট্রফি

সিরিজে ১-১ সমতা। তৃতীয় ম্যাচ রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। যারাই জিতবে, তারাই চুমু আঁকবে সিরিজ জয়ের ট্রফিতে। সে লক্ষ্য দুই দলেরই। আগাম রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে তাই পুরোদমে। সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্ট পার্কে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। এ সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩৮ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে জোহানেসবার্গে অবশ্য হেরে যায় বাজেভাবে, ৭ উইকেটে। শেষ ম্যাচ আবার সেঞ্চুরিয়ানে। প্রথম জয় তৃতীয় ম্যাচের আগে অনুপ্রাণিত করছে বাংলাদেশকে।

পারিবারিক কারণে দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে তিনি আজ খেলছেন শেষ ম্যাচে। সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ম্যাচের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সাকিবের। ৬৪ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ানের উইকেট ছিল বাংলাদেশ দলের জন্য সহায়ক। কিন্তু ওয়ান্ডারার্সের দ্বিতীয় ওয়ানডের উইকেট মোটেও সুবিধাজনক ছিল না। ফলে হারতে হয় বাজেভাবে। যদিও স্পষ্টভাবে পিচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তামিম। একইসঙ্গে স্বীকার করেন, নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন নিজেরাই। বল হাতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেয়া ক্যাগিসো রাবাদা। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নেন রাবাদা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাজে হার প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ২৪০-২৫০ ভালো স্কোর। উইকেট একপ্রান্ত থেকে ঘুরছিল, যেখান থেকে (মেহেদি হাসান) মিরাজ এবং শামসি বেশিরভাগ ওভার বল করেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম (ইয়াসির) রাব্বির উইকেট ব্যয়বহুল, কারণ এটি রাবাদার (প্রথম) স্পেলের শেষ বল হতো। সে আরেকটি ওভার বল করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ইয়াসির-মুশফিক জুটিটি বড় হলে স্কোরটা ২৪০-২৫০ করতে পারতাম। আফিফ এবং মিরাজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে দেখা গেছে তাদের বিপক্ষে মাঝের ওভারগুলোয় প্রচুর রান করা যেত। আমরা জানতাম, তারা নতুন বল নিয়ে আমাদের ওপর চাপ বাড়াবে। আমরা প্রথম ম্যাচে বেশি কছু না করেই খুব ভালো করেছিলাম। তাই আমরা মাঝের ওভারগুলো কাজে লাগিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আমরা শুরুতেই অনেক উইকেট হারিয়েছি। মাঝে রান করার মতো বেশি ব্যাটার ছিল না।’

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি সেঞ্চুরিয়ানে হওয়ার কারণে তামিম সেরা কিছুরই আশা করছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারের পরও বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। অপরিবর্তিত থাকলে একই স্কোয়াড নিয়েই টানা ছয়টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল থাকছে পরিবর্তন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে নেই পারনেল। তার পরিবর্তে আজ প্রোটিয়া একাদশে দেখা যেতে পারে মার্কো জানসেনকে।

মন্তব্য