বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব প্রায় শেষ। তবে কনকাকাফ অঞ্চল থেকে এখনো বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তা পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ ম্যাচের আগে তারা চূড়ান্ত পর্বের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে পয়েন্ট পেলেই তারা চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে যাবে। রোববার পানামার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের হ্যাটট্রিকে ৫-১ গোলের জয় যুক্তরাষ্ট্রকে চূড়ান্ত পর্বের কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে কোস্টারিকা ২-১ গোলে এল সালভাদোরকে হারিয়ে তারা বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে তাদের এ জয় যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাও বাড়িয়েছে।
কনকাকাফ অঞ্চল থেকে তিনটি দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। চতুর্থ দলটির সামনে প্লে অফের সুযোগ পাবে। এ অঞ্চল থেকে আগেই কানাডা বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার পথে ভালো অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। দুটো দলেরই পয়েন্ট ২৫। চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোস্টারিকা। তাদের পয়েন্ট ২২। শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে আতিথেয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এলসালভাদোরের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে খেলবে মেক্সিকো।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ম্যাচটি মোটেও সহজ হবে না। অন্তত প্রথম লেগের ফল সে কথাই বলছে। নিজেদের মাঠের খেলায় যুক্তরাষ্ট্র ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল। এবার কোস্টারিকা নিজেদের মাঠে খেলবে। একদিকে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। অন্যদিকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি। ফলে এ ম্যাচে কোস্টারিকার খেলোয়াড়রা নিজেদের উজাড় করে দেবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া নিজ দলের সমর্থকদের সামনে ‘নায়ক’ হওয়ার একটা হাতছানি তো থাকছেই। সে তুলনায় মেক্সিকোর পথটা তুলনামূলক সহজ। প্রথম লেগে অ্যাওয়েতে মেক্সিকো ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল।
অন্যদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে কানাডা খেলবে পানামার বিপক্ষে। এ ম্যাচের ফল পয়েন্ট টেবিলে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কেননা ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। তাছাড়া গোল পার্থক্যটাও বেশ বড়।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে হ্যাটট্রিক করা পুলিসিক দুটো গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। তার শুরুটাও পেনাল্টি গোলে। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের ইনজুরির সময়ের চতুর্থ মিনিটেও তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করেন। এ গোলের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়। এর মাঝে পল আরিওলা ও জেসাস ফেরেইরা গোল করেন। পুলিসিক ৬৫ মিনিটে তার হ্যাটট্রিক করেন।
মন্তব্য