তিন উইকেট নেই দ. আফ্রিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন উইকেট নেই দ. আফ্রিকার
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেটটি নিয়ে উড়ছেন খালেদ আহমেদ।

প্রথম সেশনে উইকেটের দেখা নেই। হতাশার সেশন কাটিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে দিনের দ্বিতীয় সেশনেই তিনটি উইকেটের দেখা পেয়েছে মুমিনুল শিবির।

উইকেটের গতি প্রকৃতি বুঝেই টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু ডারবান টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন শেষে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারেননি বোলাররা। প্রথম সেশন বিনা উইকেটেই কাটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। ২৫ ওভারে দলীয় রান আসে ৯৫।

প্রথম সেশনের শেষের দিকে একটি ক্যাচ মিসের আফসোসে পোড়ে বাংলাদেশ। মিরাজের বলে ক্যাচটি ছাড়েন লিটন দাস। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন খালেদ আহমেদ। তিনি আউট করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে।

ওভার দি উইকেটে করা খালেদের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বেরিয়ে যায় আরেকটু। তবে এলগারের মূল বিপদটা হয় বাউন্সে। বলটি আচমকাই বাড়তি লাফিয়ে ওঠে। এলগারের গ্লাভস ছুঁয়ে বল যায় পেছনে। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে বল গ্লাভসবন্দি করেন লিটন।

সাজঘরে ফেরার আগে এলগার করে যান ১০১ বলে ৬৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার সারেল। ১০২ বলে ছয়টি চারে ৪১ রান করেন তিনি।

শুরু থেকেই লড়াই করে উইকেট আঁকড়ে রাখা সারেল হুট করেই মনোযোগ হারিয়ে খেললেন আলগা শট। মেহেদী হাসান মিরাজ বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বাতাসে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পিচ করা বল টার্ন করে আরেকটু বাইরে যাচ্ছিল। বাঁহাতি এই ব্যাটার জায়গায় দাঁড়িয়েই চেষ্টা করেন অনেক দূরের বল ড্রাইভ করতে। ব্যাটে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে।

এরপরেই আবার মিরাজের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে কপাল পুড়লো পিটারসেনের। বাভুমা ব্যাটের ফেস একটু খুলে একটা ফুল লেন্থের বল অফের বাইরে ঠেলেই দিয়েছিলেন দৌড়। কিন্তু, দারুণ দক্ষতায় বলটি থামিয়ে দেন মিরাজ। এরপর উড়ন্ত অবস্থায় তার করা থ্রো গিয়ে লাগে সরাসরি স্ট্যাম্পে। ননস্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে আসা কিগান পিটারসেন পড়িমড়ি করে ক্রিজে ঢোকার চেষ্টা করেন বটে কিন্তু, তা যথেষ্ট ছিল না। পিটারসনের সংগ্রহ ৩৬ বলে তিন চারে ১৯ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৩ রান। ব্যাট করছেন রায়ান রিকেলটন ও টেম্বা বাভুমা।

মন্তব্য