-->

ডারবানে আলো স্বল্পতায় শেষ প্রথম দিনের খেলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ডারবানে আলো স্বল্পতায় শেষ প্রথম দিনের খেলা
এক আফ্রিকান ব্যাটারকে রানআউট করার পর মিরাজ ও মুমিনুরের উল্লাস।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু বল হাতে দিন শেষে ততটা আলো ছড়াতে পারলেন না বোলাররা। তারপরও সান্ত্বনা চারটি উইকেট। ডারবান টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটের জন্য রীতিমতো লড়াই করলেন বাংলাদেশের বোলাররা।

আলো স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হয় ৭৬.৫ ওভারে। পরে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেই শেষ হয় দিনের খেলা। প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৩ রান।

প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের বোলারদের কেটেছে অস্বস্তিতে। সাইটস্ক্রিন সমস্যার কারণে দিনের খেলা শুরু হয় দেরিতে। প্রথম সেশনটা হয় তাই ২৫ ওভারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের চার বোলার বিচ্ছিন্ন করতে পারে নাই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারকে।

প্রথম সেশনের শেষের দিকে একটি ক্যাচ মিসের আফসোসে পোড়ে বাংলাদেশ। মিরাজের বলে ক্যাচটি ছাড়েন উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাংলাদেশকে দুটি উইকেট এনে স্বস্তি দেন পেসার খালেদ ও স্পিনার মিরাজ।

প্রথম উইকেট এনে দিয়ে শতরানের জুটি ভাঙেন খালেদ। তিনি আউট করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারকে। ওভার দা উইকেটে করা খালেদের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বেরিয়ে যায় আরেকটু। তবে এলগারের মূল বিপদটা হয় বাউন্সে। বলটি আচমকাই বাড়তি লাফিয়ে ওঠে। এলগারের গ্লাভস ছুঁয়ে বল যায় পেছনে। বাঁদিকে ঝাপিয়ে দুই হাতে বল গ্লাভসবন্দি করেন লিটন।

সাজঘরে ফেরার আগে এলগার করে যান ১০১ বলে ৬৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন। মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার সারেল। ১০২ বলে ছয়টি চারে ৪১ রান করেন তিনি।

শুরু থেকেই লড়াই করে উইকেট আঁকড়ে রাখা সারেল হুট করেই মনোযোগ হারিয়ে খেললেন আলগা শট। মেহেদী হাসান মিরাজ বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বাতাসে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পিচ করা বল টার্ন করে আরেকটু বাইরে যাচ্ছিল। বাঁহাতি এই ব্যাটার জায়গায় দাঁড়িয়েই চেষ্টা করেন অনেক দূরের বল ড্রাইভ করতে। ব্যাটে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে।

দলীয় ১৪৬ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। আর সেটা মিরাজের দুর্দান্ত নয়নকাড়া থ্রোয়িংয়ে। কিগান পিটারসেন হয়ে যান রান আউট। ৩৬ বলে ১৯ রান করে ফেরেন তিনি।

ওয়ানডে অধিনায়ক বাভুমা তখন এগিয়ে যেতে থাকেন রায়ান রিকেলটনকে সঙ্গে করে। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১৮০ রান পর্যন্ত। এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন পেসার ইবাদত হোসেন।

তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রিকলটন। ৪১ বলে চারটি চারে ২১ রানে শেষ হয় তার অভিষেক ইনিংস।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি করে অপরাজিত আছেন বাভুমা। তার রান ৫৩। সঙ্গে ২৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন কাইল ভেরিন। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেন।

 

মন্তব্য

Beta version