দলীয় স্কোর ২৯৮। এর মধ্যে ১৩৭ রানই মাহমুদুল হাসান জয়ের। বাকি ১৬১ রান সবাই মিলে। তারপরও ভাগ্য ভালো টপঅর্ডারদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়। না হলে স্কোরটা আরো কম হতে পারত। সব মিলিয়ে ডারবান টেস্টেও তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। দিনের সবটুকু আলো অবশ্য কেড়ে নিলেন অবশ্য তরুণ জয়। যার ব্যাটে এলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি।
সতীর্থরা যখন যাওয়া-আসার মিছিলেন ব্যস্ত, তখন তরুণ জয় মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন চরম ধৈর্য নিয়ে। ১৭০ বলে ফিফটি করা জয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২৬৯ বলে। সেঞ্চুরির ইনিংসে জয় হাঁকান ১০টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন তিনি। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইলিয়ামসের বলে মাল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০ বলে তিনি করেন ১ রান।
এরপর জয় ও লিটনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ১৭০ বলে ৫টি চারে ফিফটি স্পর্শ করে জয়। তার সঙ্গে বেশ সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন লিটনও। দুজনের ৮২ রানের জুটির পর তাতে ভাঙন ধরান উইলিয়ামস। বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। ফিফটির দেখা পাননি লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করে যান ৯২ বলে ৪১ রান।
এরপর জয়ের সঙ্গে বেশ ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির আলী। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে ফেরেন তরুণ এ ব্যাটার। ৩৭ বলে ২২ রান করে আক্ষেপ সঙ্গী করে ফেরেন ইয়াসির।
এরপর মিরাজের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে ওঠে জয়ের। ২৬৭ রানের মাথায় এ জুটি ভাঙেন মাল্ডার। স্লিপে হারমারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ৮১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি।
প্রোটিয়া বোলারদের বাউন্সারে টিকতে পারেননি পেসার খালেদ মাহমুদ। ৭ বলে শূন্য রানে তিনি ফেরেন অলিভিয়েরর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
পরের ওভারে অলআউট বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ান জয় উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দেন ভেরিনের হাতে। যাওয়ার আগে খেলে যান ঝকমকে এক ইনিংস। ৩২৬ বলে ১৩৭ রান করেন জয়। তার ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ২টি ছক্কার মার। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৩৬৭ রান। বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৯৮ রানে।
৬৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিনা উইকেট ৬ রান তোলার পর ডারবানে দেখা দেয় আলোক স্বল্পতা। তারপর শুরু হয় বৃষ্টি।
মন্তব্য