ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে বড় এক অঘটন ঘটেছে। ঘটনার নায়ক ব্রেন্টফোর্ড। আর ঘটনার শিকার চেলসি। নিজেদের মাঠের খেলায় ব্রেন্টফোর্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে চেলসি। ১-৪ গোলে হেরেছে। তবে এমনটা কেউ কল্পনাতে আনতে পারেনি।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের ৪৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। তারপরই চেলসির ওপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে যায়। ঝড় তো নয়, বল টর্নেডো। মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে চেলসির সবকিছু এলেমেলো হয়ে যায়। আর তাতেই চেলসি গোলরক্ষককে তিনবার জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়। গোলের ঝড় শান্ত হওয়ার পর ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে আবার চেলসির পরীক্ষা নেন ইয়োনে উইসা। আর তাতেই গোলের ব্যবধান ১-৪ হয়।
চেলসির ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিজের দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। দূর পাল্লার শটে চমৎকার গোলটি করেন তিনি। এতটা দর্শনীয় আর আচমক চেলসি গোলটি পেয়ে যায় যে,তাতে করে সতীর্থ খেলোয়াড়রা অবাক হয়ে যায়। সতীর্থদের কেউ কেউ এতটাই বিষ্মিত হয়েছিলেন যে আনন্দ উৎসবের পরিবর্তে মাথায় হাত দিয়ে বিষ্ময় করেন।
সতীর্থের গোলের বিষ্ময় কাটতে না কাটতে গোল হজমের বিস্ময়ের ফাঁদে পড়ে যায় চেলসির খেলোয়াড়রা। একের পর এক গোল হজম করতে থাকে তারা। ভিটালি জানেল্ট প্রথম গোলটি করেন ৫০ মিনিটে। তারপরেই গোলদাতার খাতায় নাম লেখান আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ৬০ মিনিটে আবার গোল করেন জানেল্ট। ১০ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে স্তদ্ধ হয়ে যায় চেলসি। যার ধারাবাহিকতায় তারা আরো এক গোল হজম করে। এ গোলটি করেন ইয়োনে উইসা।
চেলসির জন্য এটা বড় এক আঘাত। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পর এমন বিধ্বস্ত হওয়ার কীর্তিটা চেলসির ইতিহাসে বিরল। ক্লাবে অনেক কিছু ঘটে গেলেও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দলটি একটি ম্যাচেও হারেনি। তাইতো কোচ টমাস টুখেল প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো জয়, ভালো ভালো ফলের পর এমন ঘটনা মানা যায় না। এমনটা হওয়ার কারণ অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। তারপর এটা হজম করতে হবে। কেননা এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আসলে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া কঠিন। যাহোক এখন আমাদের সোমবারের ম্যাচের দিকে নজর দিতে হবে।’
চেলসির লজ্জার দিনে দারুণ জয় কেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ গোলে হারিয়ে বার্নলিকে। একই ব্যবধানে লিভারপুল হারিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন ডিয়াগো জোতা ও ফাবিনহো। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করেন কেভিন ডি ব্রুইন ও ইকে গুনডোগান।
ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের জয়ের ফলে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের দৌড় আরো জমজমাট হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ৩০ ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। লিভারপুল ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ২৯ ম্যাচে চেলসির পয়েন্ট ৫৯। তবে কিছু সময়ের জন্য লিভারপুল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে ছিল। কেননা তাদের ম্যাচটা আগে ছিল। কিছু সময় পর নিজেদের ম্যাচে জয়ের মাঝ দিয়ে ম্যানসিটি শীর্ষ স্থান উদ্ধার করে।
মন্তব্য