পোর্ট অব এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রানে অল আউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মাহমুদুল হাসানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ও শান্ত আছেন প্রতিরোধের চেষ্টায়।
শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৭৮ রান। আগের দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ভেরিন ও মাল্ডার। দ্বিতীয় দিনেও শুরুটা ভালো করেন দুজন। তবে সপ্তম ওভারে দিনের প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। কাইল ভেরিনকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ভালোমতোই হাল ধরেন মাল্ডার ও স্পিনার কেশভ মহারাজ। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৩৮০ রান পর্যন্ত। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বোল্ড করেন দেন মাল্ডারকে। ৭৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি।
টপ অর্ডারদের মতো দারুণ ব্যাটিং করে যান এরপর কেশভ মহারাজ। স্পিনার হলেও দারুণ দক্ষতায় তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। ৫০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। ফিফটির ইনিংসে মহারাজ হাঁকান চারটি চার ও তিন ছক্কা।
দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া মহারাজকে শেষ পর্যন্ত থামান তাইজুল। দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্পিনার মহারাজ বোল্ড হন স্লগ করতে গিয়ে। তাইজুল পেলেন পঞ্চম শিকারের দেখা। লাঞ্চ বিরতির পর থেকে বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন মহারাজ। আউট হন সেই পথে হেঁটেই। তাইজুলের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে তিনি হাঁকানোর চেষ্টা করেন বলের পিচে না গিয়েই। ব্যাটে বলে হয়নি, বল লাগে স্টাম্পে। মহারাজের রোমাঞ্চকর অভিযান শেষ ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৫ বলে ৮৪ রান করে।
৪৫৩ রানে শেষ দুটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইজুলের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ২৯ রান করা সাইমন হার্মার। শেষ ধাক্কা দেন স্পিন বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজ। লিজাড উইলিয়ামসকে এলবির শিকার বানান তিনি। ৩৯ বলে ১৩ রান করেন উইলিয়ামস।
বল হাতে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। খালেদ আহমেদ তিনটি ও মিরাজ নেন এক উইকেট।
মন্তব্য