ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

সাউদাম্পটনকে উড়িয়ে দিলো চেলসি

ক্রীড়া ডেস্ক
সাউদাম্পটনকে উড়িয়ে দিলো চেলসি

শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই চেলসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মিশনটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ করে লিগ দারুণভাবে গর্জে উঠেছে দলটি। শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে সাউদাম্পটনকে। ৬-০ গোলে জয় পেয়েছে টমাস টুখেলের চেলসি। ম্যাসন মাউন্ট ও টিমো ওয়ের্নার জোড়া গোল করেছেন। একবার করে গোলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মার্কোস অ্যালোনসো ও কাই হাভের্টজ।

চেলসির গোল উৎসবের রাতে সমর্থকদের হতাশায় ভাসিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটি এভারটনের কাছে হেরে গেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, পল পগবা, মার্কাস রাশফোর্ড, ফ্রেড, হুয়ান মাতা- সবাই ছিলেন মাঠে। কিন্তু দলকে তারা হারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি। হারের তালিকায় ম্যানইউয়ের সঙ্গী হয়েছে আরেক সাবেক জায়ান্ট আর্সেনাল। তারা ব্রাইটন অ্যান্ড হোভের কাছে ১-২ গোলে হেরেছে।

ম্যাচের ফল বলছে চেলসি গোল উৎসবে নেমেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে কতটা ভয়ঙ্কর ছিল টুখেলের দল তা একটা পরিসংখ্যানে পরিস্কার হয়ে যাবে। ম্যাচ বয়স আধাঘন্টা হতে না হতেই সাউদাম্পটন গোলরক্ষককে পোস্ট থেকে চারবার বল কুড়াতে হয়েছে।

চেলসি প্রথম গোল পায় অষ্টম মিনিটে। মাউন্টের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে নেন অ্যালোনসো। কয়েক মিনিট গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান মাউন্ট। এটা ছিল এ মৌসুমে তার নবম গোল। এ গোলের মাধ্যমে গত মৌসুমে গোলের সংখ্যাকে স্পর্শ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি আরো এক গোল করেন। তার এ গোলের মাধ্যমে চেলসির গোল মিশন শেষ হয়। অবশ্য এর আগে টিমো ওয়ার্নার ও কাই হাভের্টজ গোল করেন। এক পর্যায়ে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল হজম করতে হয় সাউদাম্পটনকে।

প্রতিপক্ষ দলগুলো সাউদাম্পটনকে পেলে যেনো গোল উৎসবে মেতে ওঠে। এ নিয়ে দলটি এ মৌসুমে সাতবার ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল হজম করলো। লেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে দলটি ৯ গোল হজম করেছিল। ৫৪ মিনিটের মধ্যে ছয় গোল হওয়ায় এ ম্যাচেও সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

ম্যাচ শেষে মাউন্ট বলেন, ‘জয়ের ধারায় ফিরতে এ জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমি সব সময় বলে থাকি, প্রত্যেক ম্যাচই ফাইনাল। আর সেভাবেই আমরা শুরু করেছিলাম। এখন এ পারফরম্যান্সটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

দারুণ এক জয় পাওয়ায় কোচ টুখেলও খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা চমৎকার পারফরম্যান্স ছিল। যোগ্য দল হিসেবেই আমরা জয় পেয়েছি। তবে এখানে খেলাটা বেশ কঠিন। কিন্তু ম্যাচটাকে সহজ বানিয়ে নিয়েছিলাম। আমরা বল দখলের ওপর জোর দিয়েছিলাম। যাহোক চমৎকার একটা ম্যাচ হয়েছে এবং ফলটাও হয়েছে দারুণ।

জয়ের ফলে চেলসি তাদের তৃতীয় স্থান ভালোভাবে আঁকড়ে ধরেছে। ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬২। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল পঞ্চম স্থানে। আর সপ্তম স্থানে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের পয়েন্ট ৫১।

মন্তব্য