স্প্যানিশ লিগে রোববার রাতে অসাধারণ এক ম্যাচ উপহার দিলো রিয়াল মাদ্রিদ। সেভিয়ার মাঠে নিশ্চিত হারের ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি প্রমাণ রাখলো কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। প্রথমার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে যখন হারের শঙ্কায় ঠিক তখনই অসাধারণ প্রত্যাবর্তন রিয়াল মাদ্রিদের। শেষ পর্যন্ত ড্র নয়, ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। আর এ জয়ে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল তো হয়েছেই। এখন শিরোপা উৎসবটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।
ইভান রাকিটিচ ও এরিক লামেলার গোলে প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেভিয়া। রাকিটিচ ২১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে নেওয়ার মাত্র চার মিনিট পরেই সেভিয়া সমর্থকদের আনন্দে ভাসান এরিক লামেলা। ম্যাচের নায়ক তখন তারাই। কিন্তু ম্যাচ শেষে নায়কের তালিকা থেকে তাদের বাদ দেন রদ্রিগো, নাচো ও বেনজেমা। ম্যাচ শেষে উৎসব তাদের নিয়েই।দুই গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়াল মাদ্রিদের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই কৌশলে পরিবর্তন আনে। ফলে তাদের আধিপত্য বাড়ে। সেভিয়ার ওপর চড়াও হয় তারা। তার সুফলও পায়। খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের বয়স পাঁচ মিনিটে হতে না হতেই রিয়াল মাদ্রিদ উজ্জ্বীবিত হওয়ার শক্তি পেয়ে যায়। বদলি খেলোয়াড় রদ্রিগো গোল করে ব্যবধান কমান। তবে সমতাসূচক গোল পেতে রিয়াল মাদ্রিদ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। প্রথম গোলের ৩২ মিনিট পর নাচো সমতাসূচক গোল করেন। আর ১০ মিনিট পর বেনজেমা রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের তৃতীয় গোল উপহার দেন। এ গোলের মধ্যে বেনজেমা এ মৌসুমে ২৫তম গোল করার কীর্তি গড়লেন। রিয়াল মাদ্রিকে এক লিগে সর্বোচ্চ গোল এটি তার। এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে ২৪ গোল করেছিলেন তিনি।
জয়ের এমন সুযোগ হারানোর পাশাপাশি লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার সুযোগও সম্ভবত হারিয়ে ফেললো সেভিয়া। ৩২ ম্যাচ থেকে বার্সেলোনার সময় ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তারা তৃতীয় স্থানে। তবে বার্সেলোনা দুটো ম্যাচ কম খেলেছে। ফলে সেভিয়ার পক্ষে এখন দ্বিতীয় স্থানে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে জয়ের ফলে ৩২ ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭৫। নিকটবর্তী দল থেকে পরিস্কার ১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে তারা। ফলে শিরোপা জয়ের উৎসব এখনই শুরু করতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা।
মন্তব্য