-->

লঙ্কা সিরিজে খেলবেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক
লঙ্কা সিরিজে খেলবেন সাকিব

সাম্প্রতিক সময়গুলো তাকে টেস্টে কমই পাওয়া যায়। খেললেও থাকে নানা শঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে সিরিজে তাকে পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কারণে চলে এসেছিলেন দেশে। সামনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সাকিব আল হাসান খেলবেন কিনা, তা নিয়ে ক’দিন আগেও ছিল শঙ্কা। তবে সব ধোয়াশা দূর হয়ে গেছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, লঙ্কানদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবেন তিনি। তার আগে নিজেকেই ঝালাই করে নেবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে।

বিসিবি সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় থাকলেও সাকিব জানালেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলা নিয়ে কোনো সন্দেহই ছিল না। এ ছাড়া বর্তমানে পারিবারিক কোনো জটিলতা না থাকায় ইতোমধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।

এই সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন সাকিব। এবারের আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তার ঠিকানা ছিল। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি সুপার লিগে উঠতে না পারায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু সাকিবের খেলার ইচ্ছা থাকায় ঠিকানা বদলে নিয়েছেন তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জে খেলবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে তার।

এক ঘণ্টার মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘একদম হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া, মানে এক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্তটি নেওয়া। ভাবলাম, যেহেতু একটা সুযোগ আছে খেলার, সামনে যেহেতু শ্রীলঙ্কা সিরিজটাও আছে, তো এখন যদি কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারি, আমার জন্য প্রস্তুতি ভালো হবে।’

গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজের পর পারিবারিক কারণে দেশে ফেরেন সাকিব। এরপর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার, ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝে লম্বা বিরতি হওয়ায় মাঠে ফেরার তাড়া অনুভব করছেন সাকিব, ‘যেহেতু বেশ অনেক দিনের একটা গ্যাপ হয়ে গেল, প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেল যে ক্রিকেট খেলি না। যদি এই চারটা ম্যাচ খেলতে পারি, খেলার মধ্যে আসার একটা সুযোগ হলো। তো সে জন্যই সুযোগটি নেওয়া।’

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে বাংলাদেশ আসবে শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্ট ১৫ মে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় টেস্ট ২৩ মে মিরপুরে শুরু হবে। এই সিরিজে খেলবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘এটায় সন্দেহের তো কোনো ইয়ে ছিল বলে আমার মনে হয় না। হ্যাঁ, যদি কোনো ইমার্জেন্সি থাকত, অবশ্যই সেটি অন্য জিনিস। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই খেলব।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকতেই পরিবারের কয়েকজন সদস্যের অসুস্থতার খবর পান সাকিব। এ কারণেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। কয়েকদিন দেশে থেকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অউব্রিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। এর কয়েকদিন পর সাকিবের শাশুড়ি মারা যান। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে কঠিন সময়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যেতে চাননি সাকিব। তবে আপাতত মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছেন বলে জানালেন তিনি। সাকিবের ভাষায়, ‘এখন অবশ্যই বেটার ফিল করছি। ফোকাসটা এখন ক্রিকেটে রাখতে চাচ্ছি। চেষ্টা থাকবে সামনে যত ম্যাচ আছে, সবই যেন খেলতে পারি।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাকিবের আগের দল ছিল মোহামেডান। তবে দলের হয়ে খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। তার দলও ব্যর্থ হয়েছে সুপার লিগে উঠতে। তবে গত মঙ্গলবার মোহামেডান ক্লাব থেকে হুট করেই জানানো হয়, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জে খেলতে সাকিবকে ছাড়পত্র দিয়েছে তারা। মোহামেডানের যে ক্রিকেটাররা এবার একটি ম্যাচেও তাদের হয়ে মাঠে নামেননি, সেই ক্রিকেটারদের অন্য ক্লাবে খেলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে আগে থেকেই। জাতীয় দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন মোহামেডান ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে।

সাভারের বিকেএসপিতে আজ সুপার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরবেন সাকিব আল হাসান।

মন্তব্য

Beta version