ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দূর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়াটফোর্ডকে উড়িয়ে দিলো ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার রাতে নিজেদে মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় তারা ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে। জেসসু একাই করেছেন চার গোল। এ জয়ের ফলে ম্যানচেস্টার সিটি পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল করেছে। নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল না মারলে এ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির শিরোপা না জয়ের আর কোনো কারণ নেই।
ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটাই জুড়ে ছিলেন জেসুস। ম্যাচে শুধু যে চারটা গোল করেছেন তা নয়, দলের অন্য গোলটিরও রূপকার ছিলেন তিনি। তার সহযোগিতায় স্কোরশিটে নাম লেখান রদ্রি। জেসুস উভয়ার্ধে দুটো করে গোল করেন। ওয়াটফোর্ডের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন হাসানে কামারা।
প্রতিপক্ষের মাঠ হলেও পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারির দল ওয়াটফোর্ড এক পর্যায়ে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল। ব্যবধান ১-২ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। বরং একের পর এক গোল হজম করে বিধ্বস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে রেলিগেশনে ফাঁদে আটকে পড়ারও ব্যবস্থা হয়েছে তাদের। ৩৩ ম্যাচ থেকে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে একেবারে নিচের দল থেকে এক ধাপ উপরে রয়েছে তারা।
পেপ গার্দিওলার দলের জন্য এটা দারুণ এক জয়। আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এ জয় কোচ গার্দিওলাকে স্বস্তি এনে দিয়েছে। চার গোলের মিশনে জেসুস প্রথম গোলটি করেন চতুর্থ মিনিটে। ওলেকসান্দোর জিনচেঙ্কোর ক্রস থেকে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তিনি দলকে এগিয়ে নেন। ম্যাচের বয়স ২০ মিনিটে হতেই জেসুস পেয়ে যান দ্বিতীয় গোল। কেভিন ড্রি ব্রুইন ছিলেন এ গোলের রূপকার। তার কাছ থেকে পাওয়া বলে মাথা ছুঁইয়ে বলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে।
জেসুসের দ্বিতীয় গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে কামারা ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছিলেন। রদ্রির লম্বা পাস থেকে কামারা গোল করেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটে এক পেনাল্টি ওয়াটফোর্ডের ফিরে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়। ওয়াটফোর্ডের গোলরক্ষক বেন ফস্টার জেসুসকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ম্যানসিটি। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টি নিশ্চিত করেন। আর জেসুস চমৎকার গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
জেসুস তার চতুর্থ গোলটি করেন ৫৩ মিনিটে। এ গোলের মাধ্যমে জেসুস রেকর্ডের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। প্রথম ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চার গোল করার কীর্তি দেখালেন।
মন্তব্য