বার্সেলোনা রোববার রাতে এক রেকর্ড গড়েছে। তবে তা মোটেও সম্মানের নয়, বরং লজ্জার। ঘরোয়া লিগে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারের লজ্জায় ডুবেছে তারা। ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজেদের মাঠে টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরেছে শীর্ষ ক্লাবটি। রোববার রায়ো ভায়েকানোর কাছে একমাত্র গোলে হেরেছে তারা। ম্যাচের মাত্র সপ্তম মিনিটে আলভারো গার্সিয়া বার্সেলোনাকে লজ্জায় ডোবানো গোলটি করেন।
ইউরোপা লিগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে হারের পর গত সোমবার কাদিজের বিপক্ষেও তাদের হারের লজ্জায় ডুবতে হয়। তারপর রায়ো ভায়েকানোর কাছে এই হার। এমন লজ্জায় বার্সেলোনাকে আগে কখনো পড়তে হয়নি। ১৯৯৮ সালে একবার টানা নিজেদের মাঠে তিন ম্যাচ হেরেছিল। তবে সেটা একই মৌসুমের খেলায় নয়, ভিন্ন দুই মৌসুমের তিন খেলায় হেরেছিল তারা।
এদিকে এ জয়ের ফলে রায়ো ভায়েকানো বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা দুই জয়ের কীর্তি গড়লো। গত অক্টোবরে নিজেদের মাঠের খেলায় একই ব্যবধানে জিতেছিল ভায়েকানো। এই হারের ফলে লা লিগায় শিরোপা জয়ের লড়াইয় একেবারেই শেষ হয়ে গেলো। রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা জয়ের উৎসব এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আগামী শনিবার ইস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেলেই তারা শিরোপা উৎসব করতে পারবে।
একের পর এক হার সত্ত্বেও পয়েন্ট টেবিলে বার্সেলোনা এখনো দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। ৩৩ ম্যাচ থেকে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। সমসংখ্যক ম্যাচ থেকে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৩। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট সেভিয়ার। তবে গোল পার্থক্যে তারা পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ফলে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা ভালোভাবেই ধরে রেখেছে।
দূর্ভাগ্য বার্সেলোনার। ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করেও তারা শোধ করতে পারিনি। গোলপোস্টই তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। উভয়ার্ধের শেষ দিকে দুটো চেষ্টা পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। আর গাবির একটা পেনাল্টি দাবি রেফারি এড়িয়ে যান।
দলের এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই কোচ জাভির জন্য হতাশাজনক। তিনি শুধু হতাশ হননি , ক্ষুদ্ধও। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া জাভি বলেন, ‘আমি ক্ষুদ্ধ, হতাশ। আজ সেভিয়া থেকে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল আমাদের। কিন্তু ফ্রাঙ্কফুর্ট ও কাদিজের বিপক্ষে যা হয়েছিল সেই ভাগ্য বরণ করতে হলো। আমরা মোটেও ভালো খেলতে পারিনি। তবে আমরা ড্রর জন্য যথেষ্ঠ সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলাম। এ হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে পড়লো।’
বার্সেলোনা গোল পরিশোধের একাধিক সুযোগ পেয়েছে। ফেরান টরেস একবার বল জালেও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করা হয়। গোল পরিশোধে মরিয়া জাভি দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তনও এনেছিলেন। মেমফিস দেপে, আদামা ট্রাওরে ও লুক ডি ইয়ংকে মাঠে নামিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৭৬ মিনিটে ট্রাওওে দারুণ একটা ক্রস করেছিলেন। এটি রায়োর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা দক্ষতার সঙ্গে তার প্রতিহত করেন। চার মিনিট পর দেপে একটা চেষ্টা করেছিলেন। তার শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে আশ্রয় নেয়।
মন্তব্য