-->
শিরোনাম

চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল

প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সুপার লিগের চতুর্থ ম্যাচে সোমবার আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে জামাল শিবির। সুপার লিগের বাকি একটি ম্যাচ শেখ জামালের জন্য এখন আনুষ্ঠানিকতার। জিতলেই শিরোপা এমন সমীকরণ নিয়ে মিরপুরে আবাহনীর মুখোমুখি হয় শেখ জামাল। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২৯ রান করে আবাহনী। জবাবে ১৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ২৩২ রান করে শেখ জামাল। ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শেখ জামালের কিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। আরো একবার ব্যাটিং বিপর্যয়, আরো একবাল দলের ত্রাতা সোহান। রান তাড়ায় আরেকটি অসাধারণ অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতান সোহান।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়মে গতকাল মঙ্গলবার আবাহনীর ২২৯ রান টপকে শেখ জামালের জয় ৪ উইকেটে। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারানো শেখ জামাল সোহানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জিতে যায় ৩ ওভার বাকি রেখেই। সোহান অপরাজিত ৮১ বলে ৮১ রান করে। লিগে এটি তারা টানা চতুর্থ ৭০ ছোঁয়া ইনিংস। পাঁচ দিন আগে মিরপুরেই রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে তিনি দলকে জিতিয়েছিলেন ১৩২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে। ১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তারা নিশ্চিত করল ট্রফি জয়। দুইয়ে থাকা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ২০। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে আবাহনী ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মেহেদী মিরাজকে ছাড়া খেলতে নামা শেখ জামাল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৩৫ রানে ফিরে যান টপঅর্ডারের নাঈম শেখ, লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত। পরে চারে নেমে তৌহিদ হৃদয় ৭৫ বলে চারটি চারে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া আফিফ হোসেন খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।

শেষদিকে জাকের আলী ৭০ বলে ৪৭ ও সাইফউদ্দিন ৩৩ বলে ৫ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে লড়ই করার পুঁজি এনে দেন আবাহনীকে। জবাব দিতে নামা শেখ জামালের ৭৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে শিরোপার অপেক্ষা বাড়ানোর আভাস দেয় মোসাদ্দেকের দল। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা নুরুল হাসান ৮১ বলে আটটি চার ও দুই ছক্কায় ৮১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন। তার সঙ্গে পারভেস রসুল ৪০ বলে ৩৩ রান করেন। জিয়াউর রহমান খেলেন ২৬ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস। বল হাতে জিয়াউর রহমান এ ম্যাচে নেন দুই উইকেট। এছাড়া পারভেজ রসুল, সানজামুল হক, সুমন খান ও সাইফ হাসান একটি করে উইকেট নেন। আবাহনীর হয়ে সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট। তানভীর ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোসাদ্দেক ও নাজমুল শান্ত নেন একটি করে উইকেট।

সুপার লিগ পর্বে দিনের অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ পায় ১৯৬ রানের বড় জয়। আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে রূপগঞ্জ। জবাবে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। রূপগঞ্জের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন সাব্বির রহমান। সাকিব আল হাসান খেলেন ২৬ বলে ৫৯ রানের দারুণ ইনিংস। ৪৭ রান করেন ওপেনার রকিবুল হাসান। গাজী গ্রুপের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন হুসনা হাবিব। মেহরাব করেন ২৭ রান। আরাফাত সানি জুনিয়র করেন ১৯ রান। বাকিদের রান ছিল পাচের নিচে। রানের খাতা খুলার আগেই বিদায় নেন চার ব্যাটার। বল হাতে রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন ভারতের চিরাগ জনি।

অন্যদিকে বিকেএসপির ৪ নম্বর গ্রাউন্ডে ছিল বিজয় ও তামিমের ব্যাটিং প্রদর্শনী। প্রাইম ব্যাংক ১০ উইকেটে হারায় রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে। রূপগঞ্জ টাইগার্সের করা ২২৯ রানের জবাবে প্রাইম ব্যাংক জয়ের বন্দরে যায় কোনো উইকেট না হারিয়ে। উদ্বোধনী জুটিতেই রানের ফোয়ারা বইয়ে দেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। দুজনই পান সেঞ্চুরি। ৮৪ বলে ১১টি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ৮১ বলে ৯টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। এ ম্যাচে লিস্ট-এ ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক মৌসুমে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক বিজয়।

মন্তব্য

Beta version