নাটকীয় এক জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে লিভারপুল। মঙ্গলবার রাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও তারা ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে। প্রথম লেগে লিভারপুল ২-০ গোলে জয় পাওয়ায় ৫-২ গোল ব্যবধান নিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের শেষ ধাপে পৌঁছেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পাওয়ার পর ইংলিশ কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তার সেই উদ্বেগ ম্যাচে যে এতটা আতঙ্ক হয়ে দেখা দেবে তা হয়তো তিনি ভাবতেই পারেননি। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ভিয়ারিয়াল লিভারপুলকে জানিয়ে দিয়েছিল লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না। কেননা মাত্র তৃতীয় মিনিটেই ভিয়ারিয়াল ব্যবধান গড়ে নিয়েছিল। বোলায়ে দিয়ার গোলে তারা এগিয়ে গিয়েছিল।
শুরুর এ গোলই লিভারপুলকে এতটাই হতভম্ব করে দেয় যে প্রথমার্ধে তারা নিজেদের খুঁজে বেরিয়েছে। প্রথমার্ধে তারা একটাবারের জন্য ভিয়ারিয়ালের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারেনি। একটাবারও তারা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর তার ফাঁকেই ভিয়ারিয়াল ৪১ মিনিটে আরো একটা গোল করে সমর্থকদের মনে ফাইনালে খেলার আশা প্রবলভাবে জাগিয়ে তোলে। বিরতির আগে হেডে অসাধারণ গোলটি করেন ফ্রান্সিস কোকোয়েলিন।
বিরতির পরে লিভারপুলের খেলায় যেনো যাদুর ছোঁয়া লাগে। আর সে যাদুতে মাত্র ১২ মিনিটের এক ঝড় তৈরি হয়। সে ঝড়ে একে একে তিনবার ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষককে জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়। ৬২ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর তৈরি করা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফাবিনহো ব্যবধান কমান। ৬৭ মিনিটে কলাম্বিয়ান স্ট্রাইকার লুইস দিয়াজ গোল করে ব্যবধান সমান করেন। ৭৪ মিনিটে সাদিও মানে লিভারপুলের সমর্থকদের বুকে চেপে বসা পাথরটি একেবারে সরিয়ে দেন।
এ জয়ের ফলে লিভারপুলের সামনে এখন এক মৌসুমে চার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তারা। ঘরোয়া লিগে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে এখনো শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকে আছে। তারা এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে। চার ট্রফির একটি কারাবাও কাপ এরই মধ্যে ঘরে তুলেছে তারা।
মন্তব্য