-->
শিরোনাম
ইউরোপা লিগ

ওয়েস্ট হামকে বিদায় করে ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্ট

ক্রীড়া ডেস্ক
ওয়েস্ট হামকে বিদায় করে ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্ট

ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডকে বিদায় করে ইউরোপা লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মাঠে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলায় তারা ১-০ গোলে জয় পায়। প্রথম লেগে অ্যাওয়েতে ২-১ গোলে জয় পাওয়ায় ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তারা ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এর ফলে ৪২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফ্রাঙ্কফুর্ট ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখাল।

৪৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রাফায়েল বোরে। তার এ গোলে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডকে এক সপ্তাহে দুইবার হারালো ফ্রাঙ্কফুর্ট। ম্যাচের প্রায় শুরু থেকেই একজন বেশি নিয়ে খেলার সুযোগ পায়। মারাত্মক ফাউলের অপরাধে ১৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন অ্যারন ক্রেসওয়েল। তার এই লাল কার্ড ওয়েস্ট হামের বড় ক্ষতি করে দিয়ে যায়। ম্যাচের বাকিটা সময় তারা অনেকটা দন্তহীন বাঘের মতো ছিল। কার্যকর কোনো আক্রমণই তারা রচনা করতে পারেনি।

ওয়েস্ট হামের দুর্ভোগের শেষ এটা নয়। ৭৯ মিনিটে তাদের কোচ ডেভিড ময়েস বহিস্কৃত হয়। রাগান্বিত হয়ে বলে লাথি মারায় তাকে এই শাস্তি ভোগ করতে হয়। বল বয় বল দিতে দেরি করায় মেজায় হারিয়ে তিনি এমন কাজ করেছিলেন। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ইউরোপীয় টুর্নামেন্টের শেষটা দেখতে হয় ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডকে। ফ্রাঙ্কফুর্টের শুরুটা যে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু নয়। বরং তাদেরও যথেষ্ঠ হতাশায় ডুবতে হয়েছিল। মাত্র অষ্টম মিনিটে ইনজুরির কারণে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন ডিফেন্ডার মার্টিন হিন্ট্রেগের।

ফ্রাঙ্কফুর্ট সর্বশেষ ইউরোপীয় কাপের ফাইনালে খেলেছিল ১৯৮০ সালে। আগামী ১৮ মে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে তারা শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। আরবি লিপজিগকে বিদায় করে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্স ফাইনালে উঠেছে।

দীর্ঘ ৪৮ বছর পর ফাইনালে উঠতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফুর্ট উচ্ছ্বসিত। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন দলটির প্রেসিডেন্ট পিটার ফিশার। সমর্থকবেষ্টিত ফিশার বলেন, অবশেষে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমাদের দল সত্যিকারভাবেই ভালো খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবে তারা জয় পেয়েছে। এটাই ফুটবল। এখন আমরা শিরোপা জিততে পারি।’

অন্যদিকে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড কোচ ময়েস বলেন, ‘এটা সত্যিই হতাশাজনক। আজ রাতটা আমাদের ছিল না। তবে আমাদের ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তা প্রশংসাযোগ্য। একজন কম নিয়ে তারা যেভাবে খেলেছে তার সত্যিই চমৎকার। এমন অবস্থায় অন্য দল আরো বড় ব্যবধানে হারতো। আমার মনে হয় ‘ফাইনালে খেলার একটা দারুণ সুযোগ ছিল। আমার বিশ্বাস প্রতিপক্ষের তুলনায় আমরা ভালো খেলেছি। সত্যি কথা কি আমরা প্রথম লেগে প্রথম কয়েক মিনিট লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম।’

 

মন্তব্য

Beta version