ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া ম্যানসিটি রোববার রাতে বড় জয় পেয়েছে। নিজেদের মাঠের খেলায় তারা নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। এ জয়ের ফলে ৩৫ ম্যাচ থেকে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে তারা শীর্ষে রয়েছে। সমসংখ্যক ম্যাচে লিভারপুলের সংগ্রহ ৮৩ পয়েন্ট। ফলে ম্যানসিটি পয়েন্ট না হারালের এবারের মৌসুমে লিভারপুলের সামনে আর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
গত বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বড় ধাক্কা হজম করতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। ফাইনালে খেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। শেষ মুহুর্তে নাটকীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যায় তারা। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে ঘরোয়া লিগে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রহিম স্টার্লিং, আইমেরিক লাপোর্তে, রদ্রি ও ফিল ফোডেন গোল করেন। রহিম স্টার্লিং করেছেন জোড়া গোল।
এবারের মৌসুমে ম্যানসিটির আর তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। লিভারপুলও সমসংখ্যক ম্যাচ খেলবে। শিরোপা জিততে তিন ম্যাচ থেকে ম্যানসিটিকে সাত পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। তবে এ নিয়ে মোটেও আত্মতুষ্টিতে নেই ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘লিভারপুল আমাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। তারা আমাদের পেছনে পেছনে আসছে। অবস্থা এমন যে গোল পার্থক্যেও শিরোপা নির্ধারণ হতে পারে। ফলে এ ম্যাচের জয়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এমন এক জয়ের পর পেপ গার্দিওলা খেলোয়াড়দেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছে। যদি কেউ আমাদের নিয়ে সন্দেহ করে তাহলে তারা আমাদেরকে জানে না। চার গোলে আমরা এগিয়ে আছি। তাছাড়া বুধবার আরো একটা ফাইনাল ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের।’
বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল নিউক্যাসেল। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে অ্যালান সেন্ট মাক্সিমিন বক্সের ভেতর ক্রিস উডকে দারুণ এক ক্রস দিয়েছিলেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও এই কিউই স্ট্রাইকার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। তিনি বল গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন। প্রতিক্রিয়া জানাতে ম্যানসিটি মোটেও দেরি করেনি। দ্রুত দুটো আক্রমণ রচনা করলে গোল পায়নি। তবে খুব বেশিক্ষণও অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। ১৯ মিনিটে রহিম স্টার্লিং গোল দলকে এগিয়ে নেন।
গোল হজম করার পরপরই ম্যানসিটির জালে বল পাঠিয়েছিল নিউক্যাসেল। কিন্তু তাদের গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে খেলা চললেও ম্যানসিটি সুযোগ বুঝে ঠিকই একের পর এক গোল আদায় করেছে। বিরতির আগেই আইমেরিক লাপোর্তের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে তারা। ৬১ মিনিটে গোলের খাতায় নাম লেখান রদ্রি। তবে নাটকীয় ঘটনা ঘটে ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুুহুর্তে। ম্যানসিটির সমর্থকরা যখন তিন গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই খেলোয়াড়রা তাদের আরো দুইবার গোল উৎসব করার সুযোগ করে দেন। প্রথমবার ফিল ফোডেন। ৯০ মিনিটে গোল করেন তিনি। আর দ্বিতীয়বার সে সুযোগ তৈরি করেন রহিম স্টার্লিং। প্রথম গোল করা স্টার্লিং ৯৩ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন।
মন্তব্য