-->

রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাতলেতিকো

ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাতলেতিকো

মাদ্রিদ ডার্বিতে লজ্জায় ডুবতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে। রোববার রাতে অ্যাতলেতিকো মাটিতে ০-১ গোলে হেরে গেছে আগেভাগে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাতলেতিকোকে জয় এনে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেন ইয়ানিক কারাসকো। পেনাল্টিতে গোলটি করেন তিনি।

আগেভাগে শিরোপা নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য ছিল শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার। তাছাড়া সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল থাকায় একাদশ নির্বাচনে যথেষ্ঠ সতর্ক ছিলেন কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। নিয়মিত একাধিক খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখেছিলেন। আর সেই ফাঁকেই মূল্যবান এক জয় তুলে নেয় অ্যাতলেতিকো। রিয়ালের জন্য এই হার কোনো ক্ষতিকর না হলেও জয়টা অ্যাতলেতিকোর জন্য দারুণ মূল্যবান। কেননা এ জয়ের মাঝ দিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলে অন্তত চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করেছে। আর এই অবস্থান তাদেরকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলারও নিশ্চয়তা এনে দিয়েছে।

রিবতির আগে একমাত্র গোলটি পায় অ্যাতলেতিকো। অথচ গোলশূন্যভাবেই প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আর তখনই ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি কারাসকো। স্বাভাবিকভাবে এ জয়ে দারুণ খুশি অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। দলটির গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক বলেন, ‘এটা ছিল কঠিন এক ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদ এরই মধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করেছে। তারপরও তারা ভালো খেলেছে। তিন পয়েন্টের জন্য লড়েছিল তারা। তবে আমরাও ভালো খেলেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু সে সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। ভাগ্যক্রমে আমরা কোনো গোল হজম করিনি। ফলে এক গোলেই পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছি।’

ওবলাক এ ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। দলকে একাধিকবার কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ভালে খেলেছেন রিয়ালের গোলরক্ষক অ্যানদ্রি লুনিন। তিনি বেশ কয়েকবার দলকে রক্ষা করেছেন।

ম্যাচে শেষ কার্লো আনচেলোত্তি বলেন, ‘করিম বেনজেমা পরিশ্রান্ত। সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। তবে প্রথম বিষয় হচ্ছে আমি সমস্যা এড়িয়ে চলতে চেয়েছিল। লুকা মদরিচও পরিশ্রান্ত। সে কারণে আমি তাকে প্রথম একাদশে রাখিনি। যাহোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সবাই সুস্থভাবে আমি চেয়েছি।’

এদিকে এ ম্যাচে জয়ের মাঝ দিয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে একটা ইতিহাস তৈরি করেছেন। রিয়ালের বিপক্ষে এটা ছিল তার দশম জয়। ৩৬ ম্যাচে এ জয় পেয়েছেন। এ জয়ের মাঝ দিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন লুইস আরাগোনেসকে। মাদ্রিদ ডার্বিতে এতদিন রিয়ালের বিপক্ষে জয়ের সংখ্যায় তিনি সবার উপরে ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version