ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের লড়াইটা আর লিভারপুলের হাতে নেই। পুরোপুরি এখন তা ম্যানচেস্টার সিটির হাতে। তারপরও শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা যে একেবারে নেই তা নয়। সে জন্য নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে হবে, আর ম্যানসিটি পয়েন্ট হারানোর অপেক্ষায় থাকতে হবে। আগের সপ্তায় পয়েন্ট হারানোর পর নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করে চলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েছে তারা। অ্যাওয়ে ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জয় পেয়েছে।
এ জয়ের ফলে এবার আর ম্যানসিটিকে টপকাতে পারেনি লিভারপুল। দুই ম্যাচ আগেও জয় পেলে গোল পার্থক্যে ম্যানসিটিকে টপকে শীর্ষ উঠে আসতো লিভারপুল। কিন্তু আগের ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ে ম্যানসিটি সেই গোল পার্থক্যকেও উড়িয়ে দিয়েছে। ভিলার বিপক্ষে জয়ের ফলে লিভারপুলের সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। ম্যানসিটিরও পয়েন্ট ৮৬। তবে লিভারপুল খেলেছে ৩৬ ম্যাচ, ম্যানসিটির খেলা ম্যাচের সংখ্যা ৩৫।
জয় পেলেও ম্যাচে ছিল যথেষ্ঠ নাটকীয়তা। ম্যাচ শুরুর বাাঁশি বাজতে না বাজতেই লিভারপুলকে থমকে দিয়েছিল স্বাগতিক ভিলা। ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ভিলা। ডগলাস লুইস করেন গোলটি। অনেকটা ভাগ্যের জোরে ডগলাস গোলটি পেয়ে যান। তার হেড লিভারপুলের গোলরক্ষক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। ডগলাসের হেড গোলরক্ষকের হাতে লেগে আবার তার সামনে আসে। এবার আর ভুল হয়নি ডগলাসের। পোস্টের খুব কাছ থেকে নেওয়া তার জোরালো শট জালে আছড়ে পড়ে।
ডগলাসের এ শট ক্লপের মুখের হাসি কেড়ে নেয়। হতভম্ব হয়ে যান তিনি। তার মুখটা অন্ধকারে ছেয়ে যায়। তবে বেশিক্ষণ এ অবস্থায় থাকতে হয়নি তাকে। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোয়েল মাতিপ গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে। ভার্জিল ভ্যান ডিকের নেওয়া শট ভিলার গোলরক্ষক রুখে দিলেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। সে সুযোগ মাতিপ লিভারপুলকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। মাতিপের এ গোলে লিভারপুলকে যেমন খেলায় ফিরিয়ে আনে তেমনি আক্রমণেরও ধার বাড়ে। তবে এ অর্ধে তারা আর কোনো গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তারা জয়সূচক গোল পেয়ে যায়। সাদিও মানে করেন এ গোলটি। মানে যে হেডে গোলটি পান সেখানে ভিলার গোলরক্ষকের করার কিছুই ছিল না। বাম দিকে উড়ে আসা বলে মানের হেড এতটাই কোনাকুনিভাবে জালে আশ্রয় নেয় তাতে গোলরক্ষকের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এ গোলের মাঝ দিয়ে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন মানে। ভিলাকে প্রিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছেন। এ দলটির বিপক্ষে ১০ ম্যাচে এটি তার নবম গোল।
ম্যাচ শেষে মানের প্রশংসায় ক্লপ বলেন, ‘সে একটা মেশিন। ম্যাচ শেষে আমি তাকে এ কথা বলেছি। সে দূর্দান্ত এক খেলোয়াড়। তার শারীরিক গঠনও দারুণ। কৌশলগত ও শারীরিকভাবে অন্যদের থেকে সে এগিয়ে।’
মন্তব্য