লিগ শিরোপা নিশ্চিত হলেও গোলের ক্ষুধা কমেনি রিয়াল মাদ্রিদের। বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল লেভান্তেকে পেয়ে লা লিগায় গোল উৎসব করেছে দলটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা প্রত্যাশী দলটি ৬-০ গোলে হারিয়েছে লেভান্তেকে। হ্যাটট্রিক করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। গোলের খাতা সচল রেখেছেন করিম বেনজেমা। এক গোল করেছেন তিনি। অন্য দুই গোল করেছেন ফেরল্যান্ড মেন্ডি ও রদ্রিগো।
রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে লেভান্তের দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাদের এখনো দুটো বাকি। ওই দুই ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন রেলিগেশন ফাঁদ এড়ানোর কোনো সুযোগ তাদের সামনে নেই। ৩৬ ম্যাচ থেকে ২৯ পয়েন্ট তাদের।
লিগ নিশ্চিত হওয়ায় রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলোত্তির লক্ষ্য এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সে দিকে খেয়াল করেই এ ম্যাচের দল সাজিয়েছিলেন। প্রথম একাদশে রেখেছিলেন করিম বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। টনি ক্রস ও কাসেমিরোকে বাইরে রেখেছিলেন।
মাঠে নেমেই বেনজেমা-ভিনিসিয়াসরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের জন্য আনচেলোত্তিরকে দুঃশ্চিন্তা না করার বার্তা পাঠান। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে নেন তারা। ভিনিসিয়াস গোল পাননি, তবে দুই গোলের একটা ছিল বেনজামার। অন্য গোলটি করেছিলেন মেন্ডি। কিছু সময় পর রদ্রিগো গোলের দেখা পান। এরপরই শুরু হয় ভিনিসয়াস শো। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মূহুর্তে গোল করে দলকে চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে নেন। বিরতির পর জোড়া গোল করে ভিনিসিয়াস তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক এটি ভিনিসিয়াসের। স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত তিনি। ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়াসের কণ্ঠ থেকে সেই উচ্ছ্বাসও শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘এটা আমার প্রথম হ্যাটট্রিক। আমরা দারুণ একটা মৌসুমে শেষ করতে যাচ্ছি। সতীর্থরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। কোচ আমাকে হ্যাটট্রিক করার জন্য অনেক সময় দিয়েছেন। সুতারং প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়ে আমি আনন্দিত।’
ভিনিসিয়াস আরো বলেন, মাঠ ছাড়বো কিনা কোচ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু আমি আরো কিছু সময় থাকতে চেয়েছিলাম। কোচও সম্মত হয়েছিলেন। আর সে কারণেই আমি হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছি।’
বেনজেমা এদিন গোলের মাঝ দিয়ে রিয়ালের সাবেক কিংবদন্তী রাউল গঞ্জালেসের পাশে এসে বসেছেন। উভয়ের গোল সংখ্যা এখন ৩২৩। দুইজনই যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শীর্ষে রয়েছেন সাবেক খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ পর্তুগীজ তারকা ৪৫০ গোল করে রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে রয়েছেন।
মৌসুমে এটা ছিল করিম বেনজেমার ২৭তম লিগ গোল। ফলে পিচিচি ট্রফির দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রথমবারের মতো এই ট্রফির দাবিদার হয়েছেন তিনি। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর এই প্রথম পিচিচি ট্রফি জয়ের তালিকায় লিওনেল মেসির নাম নেই। ২০০৯-১০ মৌসুমে এই ট্রফি প্রথমবার জয় করেছিলেন মেসি। ১২ মৌসুমে আটবার তিনি এ ট্রফি জয় করেন। এ সময়ে তিনবার জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর একবার লুই সুয়ারেজ।
মন্তব্য