পারল না বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমসের বাছাইয়ের ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না। ৬০ মিনিটের ম্যাচে সারওয়ার-জিমিরা মাত্র একটি গোল করেছে। ওমান ৬ গোল করে শিরোপা উল্লাস করেছে। ৫৫ দিন আগে এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ ওমানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার এশিয়ান গেমসের বাছাইয়ের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ওমান সেই মধুর প্রতিশোধ নিল। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওমান ৬-২ গোলে বাংলাদেশকে হারায়। ৮ বছর আগে এশিয়ান গেমস বাছাইয়ের ফাইনালে বাংলাদেশ ৬-১ গোলে ওমানকে হারিয়েছিল। এদিন ৬ গোল দিয়ে সেই প্রতিশোধও তুলে নিল ওমান।
ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। প্রথম কোয়ার্টারেই ওমান ৩-০ গোলের লিড নেয়। ৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আল শাব্বি আম্মার গোল করেন। ৪ মিনিট পর ফিল্ড গোল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আল ফাহাদ। ২ মিনিট পর আল সালাহর ফিল্ড গোলে বাংলাদেশ প্রথম কোয়ার্টারেই ০-৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে কোনো গোল হয়নি। ৩-০ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। তৃতীয় কোয়ার্টারের ৩ মিনিটেই আল কাসমি আসাদ মোবারক ফিল্ড গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে দেন। চতুর্থ কোয়ার্টারের দ্বিতীয় মিনিটে আশরাফুল ইসলাম পেনাল্টি কর্নার থেকে বাংলাদেশের প্রথম গোল করেন। বাংলাদেশ এক গোল দেওয়ার ৩ মিনিট পরই আবার গোল করে ওমান। আল ফাজারি রাশাদের গোলে স্কোরলাইন ৫-১ হয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগের মিনিট আল শিবলি আসামা ফিল্ড গোল করলে ৬-১ গোলের ব্যবধান হয়। ফজলে রাব্বি শেষ মিনিটে ফিল্ড গোল করলে পরাজয়ের ব্যবধান কমে ৬-২ হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ ওমানকে হারিয়ে ছিল টাইব্রেকারে। জাকার্তায় ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিল। টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ৬-৪ গোলে ওমানকে হারায়। গত কয়েক বছরে হকিতে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রতিপক্ষ ওমান। এ দুই দলের লড়াইটি হয় হাড্ডাহাড্ডি। গত ৯ বছরে দশবার এ দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। আগের দশ ম্যাচের মধ্যে উভয় পাচটি করে ম্যাচ জিতেছিল। এ বছরে দুবারের দেখাতে উভয় দল একটি করে ম্যাচ জেতেছে। এ বছর বাংলাদেশ এএইচএফ কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এশিয়ান গেমস বাছাইয়েও অপরাজিত ছিল। টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এএইচএফ কাপ ও এশিয়ান গেমস বাছাইয়ের দলগুলো অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিতে পিছিয়ে। সমমানের দল শুধু ওমানই।
মন্তব্য