ফ্রেঞ্চ লিগে মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) বড় জয় পেয়েছে। ৫-০ গোলে হারিয়েছে মেটজকে। নতুনভাবে চুক্তি করা কিলিয়ান এমবাপে হ্যাটট্রিক করেছেন। অন্য দুটি গোল করেছেন নেইমার ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। এ গোলের মাঝ দিয়ে নেইমার অন্যরকম এক কীর্তি গড়েছেন। পিএসজির হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করেছেন।
পিএসজির হয়ে অনেকেই গোলের সেঞ্চুরি করেছেন। তাহলে নেইমারের মাহাত্ম্য কী? গোলের এ সেঞ্চুরির নেইমারকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যেখানে আছেন শুধু পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ব্রাজিলের সাবেক তারকা রোমারিও। তিনজনই তিন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। নেইমার তার স্বদেশি ক্লাব এফসি সান্তোসের হয়ে ১৩৬ গোল করেছেন। ২২৫ ম্যাচে এ গোল করেছেন তিনি। এরপর বার্সেলোনার হয়ে ১৮৬ ম্যাচে করেছেন ১০৫ গোল। অবশেষে পিএসজির হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করলেন। ১৪৪ ম্যাচে এ গোল করেছেন তিনি। নেইমারের স্বদেশি রোমারিও পিএসভি আইন্দহোভেন, ভাস্কো দা গামা এবং ফ্লামেঙ্গোর হয়ে এ গোল করেছেন। তবে এ দুজন থেকে একটু ভিন্ন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কীর্তি। তিনি বিশ^ ফুটবলের ইতিহাসে নামি তিন ক্লাবের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ এবং সিরি-এতে জুভেন্টাসের হয়ে এ কীর্তি গড়েছেন তিনি।
তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করার কীর্তিতে নেইমার অন্য দুজনের সঙ্গে একই তালিকায় থাকলে গোলের সংখ্যায় এখনো অনেক অনেক পেছনে রয়েছেন। তবে একটা বিষয়ে রোমারিও এবং রোনালদো থেকে অনেক এগিয়ে নেইমার। তিন ক্লাবের হয়ে গোলের সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন ক্লাবের হয়ে তিনি অ্যাসিস্টেও হাফসেঞ্চুরি করেছেন। আধুনিক ফুটবলের যুগ শুরুর পর এমন সাফল্য আর কেউ পাননি। হয়তো ভবিষ্যতে এমন কীর্তিও কেউ গড়তে পারবেন না। ক্যারিয়ার শেষ করার আগে হয়তো জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরিও পেয়ে যাবেন নেইমার। তা না হলেও জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতার কীর্তিটা পেয়ে যাবেন পিএসজির এ তারকা। এরই মধ্যে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন নেইমার। জাতীয় দলের হয়ে ৭১ গোল করেছেন তিনি। ৭৭ গোল নিয়ে সবার ওপরে রয়েছেন পেলে। ৯২ ম্যাচে এ গোল করেছিলেন পেলে। আর নেইমার ৭১ গোল করতে খেলেছেন ১১৭ ম্যাচ।
মন্তব্য