-->

১১ বছর পর এসি মিলানের লিগ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
১১ বছর পর এসি মিলানের লিগ জয়

অবশেষে এসি মিলানের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। দেখা পেয়েছে লিগ শিরোপার। দীর্ঘ ১১ বছর পর সিরি ‘এ’র শিরোপা জিতেছে দলটি। রোববার রাতে সাসুুউলোর বিপক্ষে মৌসুমের শেষ দিনে ৩-০ গোলে জয়ের মাঝ দিয়ে এসি মিলান শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন। অলিভার জিরোর্ড জোড়া গোল করেন। ফ্রাঙ্ক কেসি করেন অন্য গোলটি।

জুভেন্টাস আগে থেকে ছিটকে যাওয়ায় দুই মিলানের মধ্যে শিরোপা লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল। তবে ইন্টার মিলানের তুলনায় এসি মিলান অনেকটা এগিয়ে ছিল। মুখোমুখি লড়াইয়ে এসি মিলান এগিয়ে থাকায় শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ম্যাচে তাদের একটা মাত্র পয়েন্ট দরকার ছিল। তবে এক পয়েন্ট বা ড্র নয়, স্বস্তিদায়ক জয়ের মাঝ দিয়ে তারা শিরোপা উৎসব করেছে। ম্যাচে তাদের জয় নিয়ে কোনো শঙ্কা কখনোই তৈরি হয়নি।

স্যান সিরো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ১৭ মিনিটে জিরোর্ড প্রথম গোলের দেখা পান। আর ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন। মাত্র চার মিনিট ব্যবধানে সমর্থকদের মন থেকে সব আশঙ্কা দূর করেন কেসি। ৩৬ মিনিটে তিনি গোলটি করেন। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার সমর্থক বন্য আনন্দে মেতে ওঠে। আর এটাই ছিল স্বাভাবিক। দীর্ঘ ১১ বছর শিরোপার সঙ্গে এসি মিলানের যেনো শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। সেই শত্রুতাকে উড়িয়ে মিত্রতার এ উৎসবকে তারা অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। ম্যাচ শেষে মিলানের সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়ে। তারা খেলোয়াড়দের নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। খেলোয়াড়র এবং কোচ ও সহকারীদের সঙ্গে তারা কোলাকুলি করেছে।

এ জয়ের ফলে ইন্টার মিলান থেকে দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে এসি মিলান শিরোপা জয় করেছে। ৩৮ ম্যাচ শেষে ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৮৪। আর এসি মিলানের সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। নিজেদের শেষ ম্যাচে ইন্টার মিলানও জয় পেয়েছে। সাম্পদোরিয়াকে তারা একই ব্যবধানে হারিয়েছে। কিন্তু এ জয় তাদের উৎসবে মেতে ওঠার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

ম্যাচ শেষে কোচ স্তেফানো পিওলি বলেন, ‘আমরা কখন শেষ ম্যাচে হেরেছিলাম তা ভাবতে চাই না। আমরা যোগ্য দল হিসেবে শিরোপা জয় করেছি। আমরা অনেক বেশি ধারাবাহিক ছিলাম। আমরা কঠিন ম্যাচগুলোয় জয় পেয়েছি। ডার্বিতে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছি।’

 

মন্তব্য

Beta version