বৃষ্টি বাগড়ায় দিনের মোমেন্টামই নষ্ট হয়ে গেল। সারাদিনে সাকুল্যে খেলা হলো ৫১ ওভার। বাংলাদেশ নিতে পারল মাত্র ৩ উইকেট। শক্ত ব্যাটিংয়ে নিজেদের স্কোর বাড়িয়ে নিল শ্রীলঙ্কা। মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ শিবিরে ভর করল কিছুটা হতাশা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৬৫ রান। তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৮২ রান। সব মিলিয়ে ৮৩ রানে এখনো এগিয়ে বাংলাদেশ।
আগের দিনের ২ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে গতকাল মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। কাসুন রাজিথাকে বোল্ড করেন পেসার ইবাদত হোসেন। বল হাতে ৫ উইকেট শিকারি রাজিথা ব্যাট হাতে ১২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন দিমুথ করুনারত্নে। সাকিবের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হন লঙ্কান অধিনায়ক। ৫৬তম ওভারের শেষ বলটি রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করেন সাকিব। অফ স্টাম্পের ওপর ঝুলিয়ে দেওয়া বল এক পা এগিয়ে খেলেন করুনারত্নে। কিন্তু শেষ মুহূর্ত বল ড্রিফট করায় ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। মিস করে ফেলেন বলের লাইন, হয়ে যান বোল্ড। আর তাতে ভাঙে করুনারত্নের প্রতিরোধ। ৯ চারে ১৫৫ বলে ৮০ রান করেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।
লাঞ্চের পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে অনেকক্ষণ। বেলা আড়াইটার দিকে বৃষ্টি বন্ধ হলে শুরু হয় মাঠ পরিচর্যার কাজ। বিকাল ৪টায় শুরু হয় খেলা। ফ্লাডলাইট জ¦ালিয়ে খেলা চলে ঘণ্টা দুয়েকের মতো। দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ১ উইকেট। খালেদ আহমেদের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ব্যাকফুটে দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করে বাউন্ডারি হাকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৯০ বলে। ক্যারিয়ারে এটি ধনাঞ্জয়ার দশম অর্ধশতক। ইনিংসে মেরেছেন আটটি চার।
সঙ্গীর ফিফটি দেখে তর সইলো না ম্যাথুসের। পরের ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ছক্কায় উড়িয়ে পঞ্চাশে পা রাখেন তিনি ১২৫ বলে। ক্যারিয়ারে এটি ম্যাথুসের ৩৮তম ফিফটি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়। জমে যাওয়া এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন সাকিব। ৮৮তম ওভারের পঞ্চম বলটি ঝুলিয়ে দেন সাকিব। পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করেন ধনাঞ্জয়া। কিন্তু বাঁ-হাতি স্পিন টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ায় ঠিকমতো খেলতে পারেননি ব্যাটে। ব্যাটের গা ঘেঁষে বল জমা পড়ে কিপার লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে। আবেদন করেন ফিল্ডাররা। সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাকিব খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন না। শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল হালকা ব্যাট স্পর্শ করেছে। উল্লাসে মাতে দল। থামে ৯ চারে ৯৫ বলে খেলা ধনাঞ্জয়ার ৫৮ রানের ইনিংস। ভাঙে ১৯১ বল স্থায়ী ১০২ রানের জুটি।
দিনের বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন ম্যাথুস ও চান্দিমাল। ৫৮ রানে ম্যাথুস ও ১০ রানে চান্দিমাল রয়েছেন অপরাজিত। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৩টি ও ইবাদত নেন ২টি উইকেট।
মন্তব্য