কিলিয়ান এমবাপেকে দলে ভেড়ানো নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জল কম ঘোলা হয়নি। চুক্তির শেষ সময়ে এসে এমবাপে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে করে রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক থেকে শুরু করে খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুব্ধ হন। তবে সে সব কথা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে এখন অতীত। শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপের অধ্যায় ভুলে গেছে।
গত সপ্তায় এমবাপে যখন পিএসজিতে থাকার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন তখন রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সংবাদের জন্য তারা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলে স্বাভাবিকভাবে তাদের প্রস্তুতি কিছু সময়ের জন্য থমকে দাঁড়িয়েছিল। সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তারা ফাইনালের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে। শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে তারা পৌঁছে যায়। ফাইনাল শেষে এমবাপের বিষয়টি এভাবে ব্যক্ত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট পেরেজ; রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় সেরা খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এমবাপেকে দলভুক্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সে বিষয়টি এখন অতীত, যা হওয়ার তা হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ দারুণ একটা মৌসুম পার করেছে। এমবাপের বিষয়টি এখন আর আক্ষেপের কিছু নেই। এটা সবাই ভুলে গেছে। ২৩ বছর বয়সি এমবাপেকে দলভুক্ত করতে রিয়াল উঠেপড়ে লেগেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে তাদের রাডারে রেখেছিল। এমবাপেও প্রস্তুত ছিলেন রিয়ালে যোগ দেওয়ার জন্য। রিয়াল প্রেসিডেন্ট এমবাপের জন্য শুভেচ্ছাস্বরূপ জার্সিও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পেরেজ এখন ওসব বিষয় নিয়ে আর ভাবেন না। তার ভাবনায় এখন শুধু কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। যেভাবে আনচেলোত্তির প্রশিক্ষণাধীনে রিয়াল মাদ্রিদ এবার একের পর এক শিরোপা জয় করেছে তাতে পেরেজ মুগ্ধ।
আনচেলোত্তির প্রশংসায় পেরেজ বলেন, ‘আমাদের কোচ অসাধারণ। চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি রয়েছে তার। রিয়াল মাদ্রিদের দুটি দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন তিনি। অন্য দুবার এসি মিলানের হয়ে। আমার বিশ^াস তিনি একজন সফল পরিচালক। তিনি খেলোয়াড়দের মনোভাব বুঝতে পারেন। তিনি খেলোয়াড়দের জানেন। ক্লাব সম্পর্কেও তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। আর ফুটবলটা তো আরো ভালো বোঝেন। পেরেজ আরো বলেন, আমরা মৌসুমজুড়ে লড়াই করেছি। ভালো খেলা উপহার দিয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চমৎকার একটা মৌসুম পার করেছি। আমরা লিগ শিরোপাও জয় করেছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা বেশকিছু ম্যাচ খেলেছি, যা কখনো ভোলা যাবে না। রিয়াল মাদ্রিদ যে ১৪ বার ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তার মধ্যে ছয়বার পেরেজের অধীনে। ২০০২ সালে প্রথমবার। তারপর ২০১৪, ২০১৬, ১০২৭, ২০১৮ ও ২০২২।
মন্তব্য