দল জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। যদিও তিনি গোলের দেখা পাননি। তারপরও ইতালির বিরুদ্ধে ফিনালিসিমা ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক যেন লিওনেল মেসিও। গোল না পেলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জোগান দিয়েছেন গোলের। সে কারণেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মেসি। গত ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকা জয়ীর লড়াইয়ে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে আর্জেন্টিনা। ‘ফিনালিসিমা’ নামের এ ম্যাচে একটি করে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও পাওলো দিবালা।
পুরো ম্যাচেই আক্রমণে আধিপত্য করেছে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। ২৮ মিনিটে মেসির দারুণ নৈপুণ্যেই এগিয়ে যায় দল। সতীর্থের পাস ধরে বাঁদিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন পিএসজি তারকা। পুরোটা সময় সঙ্গে লেগে ছিলেন ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো, কিন্তু কিছুই করতে পারেননি তিনি। আরো খানিকটা এগিয়ে গোলমুখে বল বাড়ান মেসি, সেখানে ছোট্ট টোকায় বাকি কাজ সারেন মার্তিনেজ। বিরতির আগে মার্তিনেজের পাস ধরে দারুণ গোলে ব্যবধান বাড়ান ডি মারিয়া। বিরতির পর তিন মিনিটের মধ্যে মেসির দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পরে সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর আরেকটি জোরাল শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।
যোগ করা সময়ে মেসির নামের পাশে যোগ হয় আরেকটি অ্যাসিস্ট। মাঝমাঠ থেকে দারুণ গতিতে আক্রমণে উঠে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে অবশ্য বলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ইতালিও পারেনি ক্লিয়ার করতে, পরে আবার তার পা হয়েই যাওয়া বল ধরে ভেতরে ঢুকে নিচু কোনাকুনি শটে জালে পাঠান খানিক আগে জিওভানি লো সেলসোর বদলি নামা দিবালা। ম্যাচ শেষে মেসিকে ঘিরেই উৎসবে মাতে তার সতীর্থরা। সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে উয়েফার টেকনিক্যাল অবজারভার প্যানেল। তারা বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে। লাউতারো মার্তিনেজের গোলে সহায়তা এবং সতীর্থদের জন্য আরো সুযোগ তৈরি করতে সে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে। তার গোল করতে না পারাটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক। ওয়েম্বলি দর্শকদের সামনে সে মাস্টারক্লাস পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে; যা ছিল দারুণ উপভোগ্য।’
মন্তব্য