কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আরো কাছে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া। আর একটা মাত্র ধাপ পার হতে পারলেই তারা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে যাবে। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-১ গোলে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে।
কাতার বিশ্বকাপে ৩২ দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এরই মধ্যে ৩০ দল তাদের খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি দুই আসনের জন্য চলছে প্লে অফের লড়াই। চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিতে অস্ট্রেলিয়া এখন দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পঞ্চম দল পেরুর মুখোমুখি হবে। আগামী ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। চূড়ান্ত পর্বের শেষ আসনের জন্য এ ম্যাচের একদিন পর নিউজিল্যান্ড ও কোস্টারিকা মুখোমুখি হবে। এই দুই ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শেষ হবে।
ম্যাচ হারায় আরব আমিরাতের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন শেষ। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হা হুতাশ। দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও তারা সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পারলো না। ডিফেন্ডার আলী সালমিনের তো হতাশার শেষ নেই। কেননা অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় গোলের দায়টা অনেকাংশে তার। ৮৪ মিনিটে কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বল আমিরাতের এক ডিফেন্ডার হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন। তার হেড করা বল মাটিতে পড়ার আগে বিপদ সীমানার ঠিক বাইরে অপেক্ষায় থাকা আদিন হুরুস্টিক বা পায়ে যে ভলি শট নেন তা আলী সালমিনের শরীরে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে জালে আশ্রয় নেয়। আমিরাতের গোলরক্ষকের করার কিছুই ছিল না। এ জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়ার টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
নিজেদের মাঠের খেলায় আরব আমিরাতের শুরুটা দারুণ ছিল। একের পর এক আক্রমণ রচনা করে তারা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগকে তারা ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। বিশেষ করে হারিব আব্দাল্লা সুহাইল অস্ট্রেলিয়ার জন্য আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিলেন। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে তাদের গোল পাওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক তার আক্রমণগুলো দারুণভাবে সামাল দিয়েছেন। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া গোল করে এগিয়ে যায়। জ্যাকসন ইরভিন করেন গোলটি। বেশিক্ষণ অবশ্য এ গোলের আনন্দ স্থায়ী হয়নি। অন্যদিকে গোল হজমের হতাশাটাও আরব আমিরাতের দর্শকদের বেশিক্ষণ বয়ে বেড়াতে হয়নি। মাত্র চার মিনিট ব্যবধানে কাইও কানেদো গোল করে সমতায় ফিরিয়ে আনেন। এ গোল হজমের পর অস্ট্রেলিয়া আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়। তারই ফসল তারা ঘরে তোলে ৮৪ মিনিটে।
ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার মার্টিন বোয়েলা বলেন, ‘আমরা জয়ের জন্য মরিয়া ছিলাম। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমরা ম্যাচের বেশির ভাগ সময় আধিপত্য করেছি এবং যখনই সুযোগ এসেছে তখনই তার সদ্ব্যবহার করেছি। আমরা আবারো জয়ের জন্য মাঠে নামবো। আমাদের কেবল অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে।’
মন্তব্য