নাওয়াজের বোলিংয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক
নাওয়াজের বোলিংয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও জয় পেয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে পাকিস্তানের করা ২৭৫ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৫ রানে সব উইকেট হারায়। মোহাম্মদ নাওয়াজ ১০ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তান সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট হাতে নামা পাকিস্তান যে স্কোর বোর্ডটা খুব একটা সমৃদ্ধ করতে পেরেছিল তা নয়। মাত্র ২৭৫ রান। একই মাঠে একই সময়ে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্স এ রান নিয়ে পাকিস্তানকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ মাঠে আগে ব্যাট করে ৩০৫ রান তুলেছিল। সে রান টপকেই জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের সংগ্রহ নিয়ে একটু হলেও সংশয়ে ছিল স্বাগতিকরা। তবে সে শঙ্কা বাস্তবে রূপ পেতে দেননি মোহাম্মদ নাওয়াজ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইয়ের প্রধান চালিকা শক্তিকে শুরুতেই থমকে দেওয়ার কাজটা করেছিলেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শাই হোপকে প্রথম ওভারেই থামিয়ে দেন এ পেসার। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। শুরুর এ ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার লড়াইটা চালিয়ে নিচ্ছিলেন কাইল মেয়ার্স ও শামারাহ ব্রুকস। ৬৭ রান জমা করেছিলেন তারা স্কোরবোর্ডে। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা রানকে দ্রুততর করেছিল। এ সময়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও বিশেষ করে হারিস রউফের ওপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেছে। আর এ পাওয়ার প্লের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিম কাইল মায়ার্সকে বোল্ড করে স্পিনারদের জন্য উইকেটের দরজাটা খুলে দেন।

সুযোগ পেয়েই সেই দরজাটা দিয়ে ঢুকে পড়েন মোহাম্মদ নাওয়াজ। পরের ওভারেই নতুন ব্যাটার ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ছারখার করে তারপর বের হন তিনি। একে একে নিকোলাস পুরান, দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক শামারাহ ব্রুকস ও রভম্যান পাওয়েলের উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন। নাওয়াজের বোলিং তোপে মাত্র ৫৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের শেষ সাত উইকেট হারায়।

এর আগে পাকিস্তান টস জয়ের পর ব্যাট হাতে নেমে দারুণ শুরু করে। যদিও মাত্র ১৭ রানে ওপেনার ফখর জামানের উইকেট হারায় তবে ইমাম ইল হক ও বাবর আজম দারুণভাবে তা সামাল দিয়েছিলেন। ১২০ রানের পার্টনারশিপ ছিল তাদের। তবে দূর্ভাগ্য ইমাম উল হকের। রান আউটের ফাঁদে পড়ে শেষ হয়ে যায় তার ঝলমলে ইনিংসটি। ৭২ বলে ৭২ রান করেন তিনি। অন্যদিকে বাবর আজম আরো একটা সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি করে আকিল হোসেনের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। ৯৩ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। দুই জনের বিদায়ের পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে একটা ছোট্ট ঝড় বয়ে যায়। সে ঝড়ে উড়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। মাত্র ২০ বলে ৪ উইকেট হারায় তারা। তবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা শাদাব খান (২২), খুশদিল শাহ (২২), মোহাম্মদ ওয়াসিম (১৭) ও শাহিন শাহ আফ্রিদির (৬ বলে ১৫ রান) ব্যাটিং লড়াকু ইনিংস পেয়ে যায় তারা।

আকিল হোসেন ছিলেন সফল বোলার। তিন উইকেট নেন তিনি।

মন্তব্য