টেস্ট সিরিজ শুরু ১৬ জুন থেকে। তার আগে ক্যারিবীয় সফরে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। শুক্রবার প্রথম দিন শেষে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৪ রান। দারুণ সেঞ্চুরি করেও প্রথম দিন শেষে অপরাজিত দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ খেলছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্টেস একাদশের বিরুদ্ধে। যে দলে তেমন তারকা ক্রিকেটার নেই। তারপরও তরুণ বোলারদের নিয়ে গড়া দলটির সামনে সুবিধা করতে পারেননি সফরকারীদের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই।
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয় (০)। রানে ফেরার লড়াইয়ে থাকা শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে শান্ত ক্যাচ দিলে ভাঙে ১৪০ রানের জুটি। ৯৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে শান্ত হাঁকান ৯টি চার। জয়ের মতো শূন্য রানে ফেরেন টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো মুমিনুল হক। গত এক বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান লিটন দাসও দাঁড়াতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এ কিপার-ব্যাটসম্যান এক চারে ১৯ বলে করেন ৪ রান। সেখান থেকে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন তামিম ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। ৩৯ বলে ১১ রান করে ইয়াসির চোটের জন্য মাঠ ছাড়লে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে তামিমের জুটিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৫ রান করে সোহানের বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৭ বলে তিনি করেন ৬।
ক্রিজে যাওয়ার পরপরই ছক্কা মারেন মোসাদ্দেক। এরপরই দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। ১৬২ বলে ১৪ চার ও এক ছক্কায় সেঞ্চুরি স্পর্শ করা তামিম প্রথম দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ১৪০ রানে। আউট হওয়া ৬ ব্যাটারের চারজনই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। অশনি সংকেত হলেও উইন্ডিজ থেকে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেছেন, ‘এখানে এসে দু-তিন দিন ফিটনেসের কাজ করেছি, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ, ব্যাটাররা এখান থেকে আত্মবিশ্বাস অর্জন করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তামিম ভাই খুবই ভালো ব্যাটিং করেছেন। শান্তও ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি মনে করি, ব্যাটারদের জন্য ভালো একটা প্রস্তুতি ছিল। প্রথম টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচটা আমাদের ভালো সহায়তা করবে।’ উইন্ডিজে ব্যাটারদের জন্য যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, সেটাও উঠে এসেছে মোসাদ্দেকের কথায়, ‘এখানকার কন্ডিশন বাংলাদেশ থেকে ভিন্ন। বলে একটু বেশি মুভমেন্ট থাকে। উইকেটও বাংলাদেশ থেকে সাধারণত বাউন্সি হয়। প্রস্তুতি ম্যাচটা তাই সব দিক থেকে আমাদের কাজে দেবে। ব্যাটাররা আত্মবিশ^াস নিতে পারবে এখান থেকে।’
মন্তব্য