উয়েফা নেশনস লিগে এখনো জয়ের খোঁজে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ শেষেও তারা জয়ের দেখা পায়নি। শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইতালির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। ফলে পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডের অবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। তিন মাচ থেকে তাদের পয়েন্ট মাত্র দুই। অন্যদিকে ইতালি পাঁচ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি দর্শকশূন্য মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ইউরো ফাইনালে দর্শক ঝামেলার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সে ম্যাচে টাইব্রেকারে ইতালি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। এবারো সেই ড্রতে শেষ হয়েছে ম্যাচ। শনিবারের ম্যাচটি অবশ্য একেবারে দর্শকশূন্য ছিল না। প্রায় দুই হাজার শিশু দর্শক ম্যাচটি উপভোগ করেছে। দুই গোলরক্ষকের চমৎকার পারফরম্যান্স ম্যাচটি যেমন উপভোগ্য করে তুলেছিল তেমনি ছড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইংল্যান্ডের অ্যারন রামসডেল যেমন তেমনি ইতালির গিয়ানলুইগি ডোনারুমা তেমনি দর্শনীয় সব শট রুখে দেন।
ম্যাচ ড্র হওয়ায় উভয় দলই হতাশ। তবে হতাশাটা বেশি ইংল্যান্ডের। কেননা ম্যাচে বেশির সময় তারা বল নিয়ন্ত্রণ করেছে, একাধিক আক্রমণ রচনাও করেছে কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। রহিম স্টার্লিংয়ের ব্যর্থতা তাদেরকে আরো হতাশায় ডুবিয়েছে। ছোট বক্সের মধ্যে বল পেয়ে তিনি কাঙ্খিত ঠিকানায় পাঠাতে পারেননি। বরং কষ্টকর কাজটি করেছেন। বলকে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এক বছর আগে অনুষ্ঠিত ফাইনালে যে দল খেলেছিলো উভয় কোচ সে দলে একাধিক পরিবর্তন করে এবারের দল সাজিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে রামসডেল, ডিফেন্ডার ফিকায়ো টোমারি এবং স্ট্রাইকার টামি আব্রাহামকে মাঠে নামিয়েছিলেন। হ্যারি কেন ছিলেন সাইড বেঞ্চে। অন্যদিকে ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি তার নতুন দল সাজানো প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে একাদশ সাজিয়েছিলেন।
গাউথগেট দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম ইংল্যান্ড টানা তিন ম্যাচ জয়হীন থাকলো। শুধু তাই নয়, এ সময়ে প্রতিপক্ষের জালে বলও ফেলতে পারেনি। আগামী মঙ্গলবার ইংল্যান্ড হাঙ্গেরিকে এবং ইতালি জার্মানিকে মোকাবেলা করবে। এ সম্পর্কে সাউথগেট বলেন, ‘এ ম্যাচে আমাদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আমরা একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছি কিন্তু সে সব কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের এখন গোলের প্রয়োজন। আক্রমণভাগে সেই ধারালো অবস্থাটা দেখা যাচ্ছে না। সে কারণে আমরা গোল পাচ্ছি না। তবে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা দ্বিতীয়ার্ধে বেশি ভালো খেলেছি।’
গাউথগেট আরো বলেন, ‘আমরা হ্যারি কেন ও রহিম স্টার্লিংয়ের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। আক্রমণভাগে অন্য খেলোয়াড়দেও আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। ক্লাব পর্যায়ে এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা যথেষ্ঠ। তবে তারা সেই পারফরম্যান্সটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টেনে আনতে পারছে না।’
জয় না পেলেও ম্যাচ থেকে সন্তুষ্টি অর্জনের অনেক কিছুই পেয়েছেন ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি। তার নুতন দল দারুণ খেলেছে। ম্যাচের শুরুতেই ইতালি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তৃতীয় মিনিটে ডেভিড ফ্রাতেসির চমৎকার শটটা বারের পাশ দিয়ে চলে যায়।
মন্তব্য