অধিনায়কত্ব কারো কারো জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। নেতৃত্বের পরশে কারো কারো ব্যাটে দ্যুতি ছড়ায়, আবার কারো কারো বোলিংয়ে আগুন ঝড়ায়। আবার কেউ কেউ নেতৃত্বের চাপে ভেঙ্গে পড়েন। ব্যাটে রান খরা দেখা যায়। শেষটার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ক মমিনুল হক। নেতৃত্বের চাপে ব্যাটে রান খরা-এমনটা ভেবেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন তিনি। নেতৃত্ব তিনি ছাড়লে রান খরা তাকে ছেড়ে যায়নি। বরং ব্যাটিংয়ে অফ ফর্ম অব্যাহত রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও উভয় ইনিংসে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসে মমিনুল হক রানের খাতা খুলতেই পারেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের যে ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মমিনুল। দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের জন্য কিছুই করতে পারেননি। ৪ রানে আউট হয়ে আবার দলের বিপদ বাড়িয়েছেন। কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হন। আউট হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি তার।
মমিনুল যে শুধু এই টেস্টে ব্যর্থ হয়েছেন তা নয়। এ বছরের মার্চ মাস থেকে তার এই ব্যর্থতার যাত্রা শুরু। তারপর থেকে তা অব্যাহত রয়েছে। টানা পাঁচ ম্যাচে ৯ ইনিংসে তার যা সংগ্রহ তা একজন ব্যাটারের জন্য চরম লজ্জার। এই ৯ ইনিংসে একটিবার সেঞ্চুরি বা হাফ সেঞ্চুরি তো সোনার হরিণ একটিবার কোয়ার্টার সেঞ্চুরির কাছেও যেতে পারেননি। আসলে এই ৯ ইনিংসে তার কোনো দুই অঙ্কের রান নেই। সর্বোচ্চ রান ৯। তিনবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। ৯ ইনিংসে তার মোট রান ২৮।
ব্যাটিংয়ের এমন অবস্থা অথচ মমিনুল দলের চার নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন। আর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। এই ৯ ইনিংসে মমিনুল খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দুটো করে ম্যাচ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টে তার সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ০, ২, ৬ ও ৫)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন (২, ৯ ও ০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটা ম্যাচ খেললেও এখনো একটা বাকি। সে ম্যাচ মমিনুল থাকবেন না তা সময়ই বলে দেবে।
মমিনুল ৫৪ ম্যাচে ১৩বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ১১টি। আর হাফ সেঞ্চুরি ১৫টি।
মন্তব্য