কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলোয়াড় সংকট থেকে অনেকটা মুক্ত থাকতে পারবেন কোচেরা। এতদিন বিশ্বকাপে স্কোয়াডে খেলোয়াড় সংখ্যা ২৩ হলেও এখন তা বেড়ে ২৬ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিশ্বকাপে দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা এবারই ২৬ জনে রূপ নিচ্ছে। তবে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এরই মধ্যে এর অনুশীলন আগেই শুরু হয়েছে। গত বছর ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে উয়েফা এ কাজটা করেছিল। অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকান টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা কর্তৃপক্ষ আরো এক ধাপ এগিয়ে ছিল। গত বছর অনুষ্ঠিত কোপায় প্রতি দলে খেলোয়াড় সংখ্যা ছিল ২৮ জন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আফ্রিকান নেশনস কাপও কোপার পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল। মূলত করোনাভাইরাসের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফিফা খেলোয়াড় সংখ্যা বৃদ্ধি করায় কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের কোচগুলোকে খেলোয়াড় সংকটে পড়তে হবে না। কোনো খেলোয়াড় করোনাভাইরাসের কারণে দল থেকে ছিটকে গেলেও দেশ থেকে নতুন খেলোয়াড় উড়িয়ে ঝক্কিও পোহাতে হবে না। ফিফার এ সিদ্ধান্তের ফল কাতার বিশ্বকাপে অতিরিক্ত মোট ৯৬ খেলোয়াড়কে দেখা যাবে।
আগামী ২১ নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হবে বিশ্ব ফুটবলের এই জমজমাট আসর। মূলত বিশ্বকাপের আসর জুন মাসের দিকে শুরু হলেও এই প্রথমবার বিশ্বকাপের আসর বছরের শেষদিকে শুরু হচ্ছে। ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব পাবে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবল দর্শক ২৮ দিন ফুটবল নিয়ে বুদ হয়ে থাকবে। রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় চারদিন আগে কাতার বিশ্বকাপ শেষ হবে।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ইউরোপ থেকে সরাসরি কাতার আসবেন। মূলত বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়রা দুই সপ্তা একত্রে অনুশীলন করার সুযোগ পেলেও এবার মাত্র এক সপ্তাহ সুযোগ পাচ্ছে। বছরের শেষ দিকে ক্লাব ফুটবল জমজমাট থাকায় স্বল্প সময়ের এই অনুশীলন।
বিশ্বকাপের জন্য ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়ায় যে ক্ষতির মুখে পড়বে সে জন্য ফিফা ২০৯ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করেছে। এবারের বিশ্বকাপে আরো নতুন কিছু নিয়ম থাকছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় তিনজন বদলি খেলোয়াড়ের পরিবর্তে কাতার বিশ্বকাপে প্রতিটি দল পাঁচজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে। করোনাভাইরাসের কারণে খেলোয়াড়দেরন ওপর চাপ কমাতে ২০২০ সালে এই নিয়ম চালু করেছিল। বিশ্বকাপেও তা অব্যাহত থাকছে।
মন্তব্য