-->
শিরোনাম

বেয়ারস্টো ও ওভারটনের জবাব

ক্রীড়া ডেস্ক
বেয়ারস্টো ও ওভারটনের জবাব

ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেলে ইনিংস বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে সেই কাজটা করলেন জনি বেয়ারস্টো ও জেমি ওভারটন। লিডসে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনে ১২৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। সে অবস্থায় মিচেল ও ব্লান্ডেলের হাত ধরে রক্ষা পেয়েছিল তারা। জবাবে কিউই বোলাদের দাপটে ইংলিশদের অবস্থা আরো নাজুক হয়েছিল। সে অবস্থা থেকে তারা দলকে উদ্ধার করেন।

প্রাথমিক বিপর্যয় সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩২৯ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে ইংল্যান্ডের ওপেনারদের যেখানে শক্ত হাতে হাল ধরার কথা সেখানে তারা একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দেন। প্রথম চার ব্যাটারদের কেউ দুই অংকের রানের দেখা পাননি। শুধু শীর্ষ চার ব্যাটার নয়, তাদের সঙ্গে আরো দুই ব্যাটার ব্যর্থতার তালিকায় নাম লেখান। অ্যালেক্স লিস, জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, বেন স্টোকস ও বেন ফোকস ছিলেন এ ব্যর্থতার তালিকায়। তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ৪, ৬, ৫, ৫, ১৮ ও ০। ফলে মাত্র ৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়েছিল ইংল্যান্ড। এ অবস্থায় শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন জনি বেয়ারস্টো ও জেমি ওভারটন। তাদের দুজনের হাত ধরে ইংল্যান্ড বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছে। এরই মধ্যে ২১৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন।। জনি বেয়ারস্টো সেঞ্চুরি করেছেন। আর জেমি ওভারটন সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন। বেয়ারস্টো ১৩৩ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। এ সময় ওভারটন ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন। বেয়ারস্টো তো ঝড়ের বেগে ব্যাট করেছেন। তার ব্যাটিংয়ে টেস্ট ইনিংসের মেজাজ নয়, বরং ছিল ওয়ানডে ইনিংসের মেজাজ। মাত্র ১৩২ বলে এ রান করেন। ইনিংসটি সাজাতে তিনি ২১টি বাউন্ডারি মেরেছেন।

জেমি ওভারটনের ইনিংসটি একটু ধীরগতির ছিল। তবে তাকে ওয়ানডে ইনিংসের সঙ্গেই তুলনা করা যায়। ১১৭ বলে তিনি ৯১ রান করেন। এক ডজন বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। তাকে আরো সমৃদ্ধ করেছিল দুটি ওভার বাউন্ডারি ইংল্যান্ডের ইনিংসকে বিপর্যয়ে ঠেলে দিতে মূল ভূমিকাটা পালন করেছিলেন ট্রেন্ট বুল্ট। ইংল্যান্ডের হারানো প্রথম ৩ উইকেটই তিনি শিকার করেছিলেন। ১৭ ওভারে ৭৩ রানে এ ৩ উইকেট শিকার করেন। নিল ওয়াগনারের শিকার ছিল ২ উইকেট। তবে দিনের সময় যত পার হয়েছে, ততই তাদের বোলিংয়ের ধার কমেছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় বেয়ারস্টো ও ওভারটন রান উৎসব করার সুযোগ পেয়েছেন। বুল্টের প্রথম স্পেলের বোলিংটা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য রীতিমতো বিভীষিকাময়। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই তিনি উইকেট শিকারে নাম লেখান। দ্বিতীয় ওভারে কোনো উইকেট পাননি। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারেও উইকেটের দেখা পান তিনি। বুল্ট যখন শিখার থামান তখন শুরু করেন নিল ওয়াগনার। তার শিকার দুই। আর বুল্টের সঙ্গে শুরুতে বল হাতে নেওয়া টিম সাউদির শিকার ১ উইকেট।

মন্তব্য

Beta version