-->
শিরোনাম

ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপ তামিমের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপ তামিমের

অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই তুলনায় সেন্ট লুসিয়ায় অনেকটা ভালো। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৪। তারপরও দিন শেষে আক্ষেপ টাইগার শিবিরে। কারণ মিডলঅর্ডারে এবার ধস নেমেছে। সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় আগে। তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয় উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলেন ১২.২ ওভার খেলে। খুব বড় কোনো উদ্বোধনী জুটি এটা অবশ্যই নয়। তবে আগের কয়েক টেস্টের বাস্তবতায় বেশ ভালো শুরু! জয়কে হারিয়ে শুরুর জুটি থামার পর প্রথম সেশনে আউট হন দারুণ খেলতে থাকা তামিমও। বাংলাদেশের রান একপর্যায়ে দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০৫। কিন্তু এরপরই ৩৩ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট।

বড় স্কোরের সম্ভাবনা শেষ ওখানেই। এরপর লিটন দাসের ৫৩ রানের ইনিংস আর লোয়ার অর্ডারে এবাদত হোসেন (২১*) ও শরিফুল ইসলামের (১৭ বলে ২৬) ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ২৩৪ রান। পরে বল হাতেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ১৬ ওভারেই উইন্ডিজ ৬৭ রান তুলে ফেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবালের আক্ষেপ ব্যাটিং-ব্যাটিং দুটি নিয়েই। তিনি বলেন, ‘উইকেটে বল ওঠা-নামা করেছে। তবে আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল। ৩০০-র কাছাকাছি বা ৩২০ করতে পারলে আরো ভালো হতো। আর বোলিংয়েও যদি আমরা ২৫-৩০ রান কম দিতাম, তাহলে ভালো হতো। কারণ ওরা যে ধরনের ব্যাটিং করে সাধারণত, এত দ্রুত রান করে না, ক্যাম্পবেল ছাড়া। আমরা ২০-২৫ রান বেশি দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘উইকেটে যখন সহায়তা খুব বেশি থাকে না, তখনই প্রতিপক্ষ স্টাম্প সোজা বল করা শুরু করে। উইকেটে বল ওঠা-নামা করলে স্টাম্প সোজা বল করে। আমাদের প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। ওই জায়গায় যদি আমরা জুটিতে আরো ৫০-৬০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো খুব ভালো অবস্থায় থাকতাম। হয়তো আজকে সারা দিন আমরাই ব্যাটিং করতাম।’ ‘দুর্ভাগ্যজনক যে ওই (ভালো) অবস্থা থেকে আবার এ অবস্থায় চলে এসেছি। হয় প্রথমে হচ্ছে না, নইলে মাঝখানে হচ্ছে না। এটাই সমস্যা। আমি এমন কেউ নই যে এসে বলব ‘অমুক-তমুকের কারণে হচ্ছে না। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করছি না।’

প্রথম টেস্টে দুই দফায় ভালো শুরুর পর তামিম আউট হন নিজের ভুলে। প্রথমটি লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে, পরেরটি ছেড়ে দেওয়ার মতো বলে ব্যাট পেতে দিয়ে। এরপর সেন্ট লুসিয়া টেস্টে শুক্রবার প্রথম দিনে আবার ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তাকে দল টস হারার পর। ঘাসের ছোঁয়া থাকা ও অসমান বাউন্সের উইকেটে শুরুটা তিনি দুর্দান্ত করেন। একের পর এক বাউন্ডারি আদায় করেন। কিন্তু এবার বড় ইনিংস তো বহুদূর, ফিফটিও করতে পারেননি। আলগা শটে আউট হন ৯ চারে ৪৬ রান করে। তামিম বললেন, আউট হওয়ার বলটি তার প্রত্যাশার চেয়ে একটু বেশি লাফিয়েছিল। তবে এটিকে অজুহাত হিসেব দাঁড় করাতে চান না তিনি। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে এরকম শুরু পেয়ে গেলে সাধারণত আমার ইনিংসগুলো বড় হয়। দুর্ভাগ্যজনক যে বড় করতে পারিনি। আজকের বলটি আমি ছেড়ে দিতে পারতাম। তবে বলটি যতটা ওঠার কথা নয়, তার চেয়ে বেশি উঠেছে। এজন্য ব্যাটের স্টিকারে লাগে।’ ‘তবে আমি ওরকম নই যে এখানে এসে বলব ‘এ কারণে হয়নি, ও কারণে হয়নি।’ আমার কাছে মনে হয়, যখন আমি শুরুটা পাচ্ছি, দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে, বড় করা উচিত ছিল। এখানে কোনো অজুহাত নেই।’

মন্তব্য

Beta version