বিশ্বকাপে জার্মানির শুরুটাও হলো হতাশার। গতকাল বুধবার জাপানের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছে তাদের বিশ্বকাপ মিশন। ঠিক আর্জেন্টিনার মতোই। পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও ১-২ গোলে হেরেছে তারা। অথচ বিরতির আগে জার্মানি এক গোলে এগিয়ে ছিল। পেনাল্টি থেকে এ গোল করেছিলেন ইকে গুনডোগান। বিরতির পর জাপানের হয়ে গোল করেছেন রিতসু ডোয়ান ও তাকুমা আসানো। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে জার্মানিকে চমকে দিয়েছিল জাপান। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। এর পরপরই জার্মানি খেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। প্রথমার্ধে এককথায় জার্মানির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জাপান। এ অর্ধে জার্মানি ৮১ শতাংশ সময় বলের দখল রেখেছিল। অন্যদিকে জাপান বল নিয়ন্ত্রণ করেছিল মাত্র ১৯ শতাংশ সময়।
বিরতির পর জাপান খেলায় কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করে। তবে তা মোটেও জয়ের মতো নয়। আগের তুলনায় কিছুটা বেশি বলের নিয়ন্ত্রণ পায় তারা। বল নিয়ন্ত্রণের খেলায় পিছিয়ে থাকলেও গোলের খেলায় ঠিকই গোল আদায় করে নেয় তারা। আর তাতেই বিশ্বকাপে আরো একটি অঘটনের দেখা পান ফুটবলপ্রেমীরা। দিনের প্রথম খেলায় বর্তমান রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে হতাশা করেছে মরক্কো। গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি। এ ম্যাচ পর্যন্ত এবারের বিশ^কাপে হওয়া ৯ ম্যাচে এটি তৃতীয় গোলশূন্য ড্র। দুর্ভাগ্য ক্রোয়েশিয়ার। সিংহভাগ সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেও তারা গোলের দেখা পায়নি। তবে সুযোগ যে তৈরি হয়নি, তা নয়। নিকোলা ভøাসিক একবার গোলের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও গোলের দেখা পাননি। অন্যদিকে বলের নিয়ন্ত্রণ কম রাখলেও মরক্কোও গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। বিশেষ করে নোসাইর মাজরাউয়ির হেড গোলের দেখা না পাওয়াটাই ছিল বিস্ময়কর। আগামী রোববার ক্রোয়েশিয়া কানাডার বিপক্ষে খেলবে। মরক্কোর জন্য এদিন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হবে। কেননা ওইদিন তাদের খেলতে হবে বেলজিয়ামের বিপক্ষে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য