জয়ের বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার

ক্রীড়া ডেস্ক
জয়ের বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার

আল-ওয়াকরাহর আল-জানুব স্টেডিয়ামে আজ শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-তিউনিশিয়া। ফ্রান্সের কাছে প্রথম ম্যাচে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কোনো পথ খোলা নেই। অন্যদিকে ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে ১ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে তিউনিশিয়া।

ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তিউনিশিয়া। প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলার জন্য তারা মুখিয়ে আছে। প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ডেনমার্ককে আটকে দিয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরে রেখেছে আফ্রিকান দলটি।

 

১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তিউনিশিয়া। কিন্তু চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে পানামার বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল। আর এবার ডেনমার্কের বিপক্ষে শুরুটাও দুর্দান্ত হয়েছে।

 

আগামী বুধবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে মোকাবিলা করবে তিউনিশিয়া। সে কারণে অস্ট্রেলিয়ান বিপক্ষে ম্যাচের ফলের ওপর তাদের নকআউট পর্ব অনেকটাই নির্ভর করছে। জানুয়ারির পর থেকে কোচ জালেল কাদরির দল এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিদ্বন্দিতা মূলক ম্যাচে হারেনি।

 

ডেনমার্কের বিপক্ষে পুরো দলের পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে সবাইকে উজ্জীবিত করে তুলেছে। এর আগে দুবার অস্ট্রেলিয়া ও তিউনিশিয়া একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, এর মধ্যে উভয় দল একটি করে জয় পেয়েছে।

 

১৯৯৭ সালে প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ গোলে ও ২০০৫ সালে কনফেডারেশন্স কাপে তিউনিশিয়া ২-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। ফ্রান্সের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে ইতোমধ্যেই গ্রুপ -ডিতে কঠিন পজিশনে রয়েছে সকারুজরা। অথচ ক্রেইগ গুডউইনের গোলে ৯ মিনিটে দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্সকে পিছনে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আদ্রিয়ান রাবোয়িত ও কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে অলিভার জিরুডের জোড়া গোলে ফ্রান্স কোনো অঘটন হতে দেয়নি।

 

এ পরাজয়ে অস্ট্রেলিয়ান এখন গ্রুপের তলানিতে রয়েছে। গ্রাহাম আর্নল্ডের দল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাছাই পর্বের শেষ রাউন্ডে পরাজিত করে প্লে-অফে পেরুকে পেছনে ফেলে কাতারের টিকিট নিশ্চিত করে। এরপর সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে।

 

এ নিয়ে শেষ পাঁচটি বিশ্বকাপেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সকারুজরা। শেষ তিনটি আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৬ সালে ব্রাজিলের পরে ‘এফ’ গ্রুপেই দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য