শনিবার তিউনিশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকল অস্ট্রেলিয়া। আল-ওয়াকরাহর আল-জানুব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সকারুজরা।
প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটে জয়সুচক একমাত্র গোলটি করেছেন মিচেল ডিউক। ফ্রান্সের কাছে প্রথম ম্যাচে ৪-১ গোলে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। অন্যদিকে গোলশূন্য ড্র করে ডেনমার্ককে রুখে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল তিউনিশিয়া।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হলেও শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছিল নকআউট ম্যাচের আমেজ। শুরুতে অবশ্য দুই দলই কিছুটা চাপে থাকার কারণে এলোমেলো ছিল। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে তিউনিশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটি অবশ্য পেয়েছিল সকারুজরা। ষষ্ঠ মিনিটে সকারুজ মিডফিল্ডার অ্যারন মুই তিউনিশিয়ার সিমান্তে ঢুকে পড়লে তাকে বাধা দেন মোহাম্মদ ড্রাগার। ফলে ফ্রিকিকের বাঁশি দেন রেফারি। মুই নিজেই ফ্রিকিকটি নিয়েছিলেন বটে, তবে সফল হননি।
২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গোলের দারুণ একটি সুযোগ সৃষ্টি করেন তিউনিশিয়ার ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় ইসাম জেবালিম। সতীর্থ ইউসুফ মাসাকনির পাস থেকে বল নিয়ে দ্রুত অস্ট্রেলিয়ায় সীমানায় ঢুকে পড়েন তিনি।
তবে বলে যুৎসই শট নিতে পারেননি তিনি। বলটি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে অবশ্য মোহাম্মদ দূরপাল্লার শট নিলেও সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২ মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা অস্ট্রেলিয়া। ২৩ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে বাম প্রান্তে ডিবক্সের বাইরে থেকে ক্রেইগ গুডইউনের ক্রসের বল ব্যাক হেডের মাধ্যমে তিউনিশিয়ার জালে জড়িয়ে দেন মিচেল ডিউক (১-০)।
২৯ মিনিটে সকারুজদের হয়ে ফের আক্রমণে যান ডিউক। কিন্তু ডিফেন্ডার মোনতাসার তালবি এগিয়ে এসে তার পথ রোধ করেন এবং তাকে ফেলে দেন। ৩৫ মিনিটে কর্নার পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এ সময় পর্যন্ত অবশ্য বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল তারা।
৫১শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল অস্ট্রেলিয়ার। আর তিউনিশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল ৪৯ শতাংশ। ৪১ মিনিটে নাইম সিলটি অস্ট্রেলিয়ার ডিবক্সের ভেতর বল পেয়ে শট নিলেও অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাট রায়ানের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
৪২ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ডিউক ডিবক্সে ক্রস করলে বলে হেড করেছিলেন ম্যাথু লেকি, কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণে নেন তিউনিশিয় গোলরক্ষক আয়মেন ডাহমেন। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে অবশ্য গোল পরিশোধের ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল তিউনিশিয়া। বক্সের বাইরে থেকে জেবালির পাওয়া কাজে লাগাতে পারেননি ইউসুফ মাসাকনি। তিনি যথাযথভাবে ঘুরিয়ে মারতে না পারলে বল চলে যায় গোল লাইনের বাইরে।
যে কারণে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তিউনিশিয়াকে। আগামী ৩০ নভেম্বর এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তিউনিশিয়া। একই দিন আল-জানুব স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের মোকাবিলা করবে অস্ট্রেলিয়া।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য