জয়ই ভাবনা ইকুয়েডর-সেনেগালের

ক্রীড়া ডেস্ক
জয়ই ভাবনা ইকুয়েডর-সেনেগালের

গ্রুপের শেষ ম্যাচে আজ মঙ্গলবার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সেনেগালের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ইতোমধ্যেই দারুণ ছন্দে থাকা লা ট্রাইরা বিশ্বকাপে সকলের নজড় কেড়েছে।

 

কাতারের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে ম্যাচ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর এখন গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও স্বাগতিক কাতারকে বিদায় করে দিয়ে সেনেগালও নকআউট পর্বে খেলার দৌড়ে টিকে আছে।

 

ইকুয়েডরের আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারো ইতোমধ্যেই তার ট্যাকটিকাল দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আক্রমণভাগের সঙ্গে রক্ষণের একটি দারুণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তিনি ইকুয়েডরকে গোছানো ফুটবল খেলা রপ্ত করিয়েছেন।

 

প্রথম দিন কাতারের বিপক্ষে এনার ভ্যালেন্সিয়া ২ গোলে ইকুয়েডর ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও গোল পেয়েছেন ভ্যালেন্সিয়া। ৪৯ মিনিটে তার দেয়া গোলেই ইকুয়েডর সমতা ফেরায়। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে এখন ভ্যালেন্সিয়া ৩ গোল দিয়ে সর্বাধিক গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।

 

এখন দেখার অপেক্ষা সেনেগালের কৌশলী রক্ষণভাগকে ভেঙে তিনি কতটা নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন। ৩ পয়েন্ট পেলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হবে ইকুয়েডরের, একইসঙ্গে নেদারল্যান্ডসকে টপকে গ্রুপের শীর্ষ দল হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। গ্রুপে-এ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ সেনেগালেরও রয়েছে।

 

কিন্তু সেজন্য জয় ভিন্ন বিকল্প নেই। কাতারকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেনেগাল রয়েছে আত্মবিশ^াসের তুঙ্গে। আল থুমামা স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে বুলায়ে ডিয়া, ফামারা ডিয়েহিউ ও বাম্বা ডিয়েংয়ে গোল করেছেন। অবশ্যই এ জয়ের পর তাদেরও নকআউট পর্বে যাওয়ার সব সুযোগ রয়েছে।

 

যদিও আরো একবার দলের সুপারস্টার সাদিও মানের অনুপস্থিতি দারুণভাবে অনুভ‚ত হবে সেনেগাল শিবিরে। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়া মানের জন্য তো অবশ্যই পুরো সেনেগালের জন্যই তা ছিল বড় দুঃসংবাদ।

 

কোচ আলিউ সিজের আশা মানের অনুপস্থিতিতে আরো একবার ডিয়া, ডিয়েহিউরা দলের হাল ধরবেন। ইকুয়েডরের সঙ্গে ড্র করলেও বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে সেনেগালের। এ ম্যাচের জন্য শক্তিশালী দল নিয়েই মাঠে নামকে ইকুয়েডর।

 

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ইনজুরিতে পড়ায় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভ্যালেন্সিয়ার খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্সিয়া খেলতে না পারলে ইকুয়েডরকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এ মুহূর্তে ব্রাইটনের ফরোয়ার্ড জেরেমি সারমিয়েতো কিংবা কেভিন রডরিগুয়েজই তার স্থানে খেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

 

অন্যদিকে সেনেগাল দলে কোনো ইনজুরি শঙ্কা নেই। পুরো ফিট দল নিয়েই ইকুয়েডরকে মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুতি। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে কালিদু কুলিবালি ও আব্দু ডিয়ালো রয়েছেন। আক্রমণভাগে বুলায়ে ডিয়া ও ফামারা ডিয়েহিউকে বল জোগান দেয়ার জন্য মধ্যমাঠে ইসমাইলা সার ও ক্রেপিন ডিয়াট্টা ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রমাণ করেছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য